উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত ছয় জনের মরদেহ শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষার প্রয়োজন হয়। ওই ছয়টি বডিব্যাগের একটি ব্যাগে ছিল পাঁচটি দেহাবশেষ ও দুটি অপূর্ণাঙ্গ মৃতদেহ। ডিএনএ পরীক্ষায় জানা গেছে—এই দেহাবশেষগুলো বাকি দুই অশনাক্ত শিক্ষার্থীর। ফলে ডিএনএ পরীক্ষার ভিত্তিতে সিএমএইচে সংরক্ষিত ছয়টি মরদেহের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচে।
সিআইডির প্রস্তুত করা ডিএনএ প্রতিবেদনে পাঁচ জন শিক্ষার্থীকে শনাক্ত করার কথা জানানো হয়। তারা হলো—ওকিয়া ফেরদৌস নিধি, লামিয়া আক্তার সোনিয়া, আফসানা আক্তার প্রিয়া, রাইসা মনি এবং মারিয়াম উম্মে আফিয়া। এই মরদেহগুলো শনাক্ত করতে সিআইডি ১৪টি নমুনা সংগ্রহ করে, যার মধ্যে ১১টি ছিল পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, শনাক্ত হওয়া দেহাবশেষগুলো লামিয়া আক্তার সোনিয়া ও আফসানা আক্তার প্রিয়ার। তাদের বাবা-মায়ের ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মিলিয়ে এ শনাক্তকরণ নিশ্চিত করা হয়।
সিএমএইচ থেকে গত ২৫ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতরে পাঠানো এক চিঠিতে জানানো হয়, ২১ জুলাই সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের মর্গে মোট ১৫টি বডিব্যাগ গ্রহণ করা হয়। এসবের মধ্যে তুরাগ থানা পুলিশ প্রাথমিকভাবে ১১টি সম্পূর্ণ মৃতদেহ, দুটি অপূর্ণাঙ্গ মৃতদেহ এবং পাঁচটি দেহাবশেষ শনাক্ত করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে। ১১টি সম্পূর্ণ মরদেহের মধ্যে ৯ জনের পরিবার তাদের স্বজনদের শনাক্ত করতে পারায়, ঘটনার দিন তুরাগ থানা পুলিশ ৮টি এবং ২২ জুলাই ১টি মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করে।
বাকি থাকা দুটি সম্পূর্ণ মৃতদেহ, দুটি অপূর্ণাঙ্গ মৃতদেহ এবং পাঁচটি দেহাবশেষ থেকে ২২ জুলাই সিআইডি ফরেনসিক টিম ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে। পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে পাঁচ জনের মরদেহ শনাক্ত করা হয়। এরপর ২৪ জুলাই রাতে তুরাগ থানা পুলিশ শনাক্তকৃত মরদেহ ও দেহাবশেষ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, বিমান বিধ্বস্ত ঘটনায় এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪ জনে। ডিএনএ পরীক্ষার ভিত্তিতে এ সংখ্যা হালনাগাদ করা হয়েছে। অধিদফতরের প্রতিবেদনে শুরুতে সিএমএইচে ১৫টি মরদেহ থাকার কথা বলা হলেও হালনাগাদের পর জানানো হয়—বর্তমানে সেখানে ১৪টি মরদেহ রয়েছে।
আমার বার্তা/এল/এমই