বিগত সময়ের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও ১০ বছর মেয়াদি একাডেমিক মাস্টার প্ল্যানের ভিত্তিতে ভবিষ্যতের কৌশল নির্ধারণে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ দুই দিনব্যাপী এক কৌশলগত সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
গাজীপুরের রোয়েনা রিসোর্টে গত ২৪-২৫ জুলাই আয়োজিত এই সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ একাডেমিক নেতৃত্ব, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা অংশ নেন।
সম্মেলনে ২০২৪ সালের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম মূল্যায়ন, বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ চিহ্নিতকরণ এবং ২০২৫ সালের জন্য কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। শিক্ষাদান, গবেষণা, শিক্ষার্থী ভর্তি, শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা ও প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালনায় মানোন্নয়ন নিশ্চিত করাই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য।
সম্মেলনে অ্যাকাডেমিক ইনোভেশন, ডিজিটাল রূপান্তর, টেকসই উন্নয়ন, অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষার্থীদের সফলতা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মতো অগ্রাধিকারভিত্তিক বিষয়গুলো নিয়ে গভীর আলোচনা হয়। এটি অংশগ্রহণমূলক, প্রয়োগযোগ্য ও ভবিষ্যতমুখী কৌশল প্রণয়নের এক গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে।
সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করতে কৌশলগত সামঞ্জস্য ও অংশীদারিত্বপূর্ণ নেতৃত্ব প্রয়োজন। প্রথম দিনে চারটি গুরুত্বপূর্ণ কী-নোট উপস্থাপনা অনুষ্ঠিত হয়। এগুলো হলো— জিইউবির ১০ বছর মেয়াদি একাডেমিক মাস্টার প্ল্যান পর্যালোচনা, এআই যুগে একাডেমিক ও গবেষণার উৎকর্ষতা; আর্থিক স্থিতিশীলতা, অর্থায়ন ও কৌশলগত প্রবৃদ্ধি প্রভৃতি।
সমাপনী বক্তব্য দেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফায়জুর রহমান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ এবং উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন। তারা স্ট্রাইভ ২০২৫-এর কৌশলগত পরিকল্পনার আলোকে উদ্ভাবন, অন্তর্ভুক্তি ও উৎকর্ষতা অর্জনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
আমার বার্তা/এল/এমই