ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে সবচেয়ে জনপ্রিয় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ তথা আইপিএল। অন্যান্য খেলার সঙ্গে প্রতিযোগিতাতেও পিছিয়ে নেই ভারতের এই টুর্নামেন্টটি। বিশ্বের জনপ্রিয় লিগগুলো মধ্যে সেরা তিনেই নাম থাকবে টাকার ছড়াছড়ি থাকা এই টুর্নামেন্টের।
কিন্তু আইপিএলের আজকের এই মহীরুহ হয়ে ওঠার নেপথ্যে রয়েছে একাধিক বেআইনি, নিয়ম বহির্ভূত কাজ! এমনটাই দাবি করলেন প্রথম আইপিএলে চেয়ারম্যান ললিত মোদি। তার দাবি, আইপিএলকে জনপ্রিয় করতে সব নিয়ম ভেঙেছেন তিনি।
অনেকেই মানেন, আইপিএলকে আজকের জনপ্রিয়তায় পৌঁছে দিতে বিরাট ভূমিকা ছিল ললিত মোদির। গোটা টুর্নামেন্টটাই বর্তমানে পলাতক ওই ব্যবসায়ীর মস্তিষ্কপ্রসূত। আইপিএল যে এত বড় ব্র্যান্ড সেটার অন্যতম কারণ, আত্মপ্রকাশের ম্যাচেই ঝাঁ চকচকে লাইভ টেলিকাস্ট, কোটি কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া এবং ব্রেন্ডন ম্যাকালামের সেই ঐতিহাসিক ১৫৮ রানের ইনিংস। ললিত মোদি ১৭ বছর পরে এসে ফাঁস করলেন, আইপিএলের প্রথম ম্যাচকে বেশি বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সবরকমের নিয়ম ভেঙেছিলেন তিনি।
আইপিএলের প্রথম বছরের সম্প্রচারের এক্সক্লুসিভ স্বত্ত্ব ছিল সনি স্পোর্টসের হাতে। কিন্তু সেসময়ের আইপিএল চেয়ারম্যান ললিত মোদি সন্দিহান ছিলেন সনি যে চ্যানেলে খেলা দেখাচ্ছে সেই চ্যানেল আদৌ কতটা জনপ্রিয় সেটা নিয়ে।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্বীকার করেছেন, নিয়ম ভেঙে প্রথম ম্যাচ সম্প্রচারের জন্য নিউজ চ্যানেলগুলোকেও উৎসাহিত করেছিলেন তিনি। ললিতের কথায়, “আমি চাইছিলাম যেভাবেই হোক ম্যাচটা যেন প্রচুর মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। কারণ ওই ম্যাচ হিট না হলেই আমাকে শেষ হয়ে যেতে হতো। সে জন্য সবরকমের নিয়ম ভেঙেছি।”
আসলে আইপিএলের বিপুল বিনিয়োগ তুলতে জনপ্রিয়তাই ভরসা ছিল মোদির। আর সনিকে নিয়ে সন্দিহান ছিলেন তিনি। তাই প্রথম ম্যাচ যাতে দর্শকদের কাছে পৌঁছায় সেটা নিশ্চিত করতে তিনি একাধিক টিভি চ্যানেলকে উৎসাহিত করেন যাতে তারাও ম্যাচটার কোনও কোনও অংশ লাইভ দেখায়। কিন্তু সেটা ছিল নিয়ম বিরুদ্ধ। এমনকী সনি বিষয়টি জানার পর ললিতকে মামলা করার হুমকিও দেয়। কিন্তু তাতে তিনি দমেননি। পরে অবশ্য প্রথম ম্যাচের জনপ্রিয়তার আঁচ সনিও পেয়েছিল।