রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য প্রাথমিক বাছাইকৃত ২২টি দল থেকে এবার ১২টি দলকে মনোনীত করেছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে বাংলাদেশ সংস্কার পার্টি (বিআরপি)ও রয়েছে। দীর্ঘকাল স্বৈরচারীর শাসকের কবল থেকে মুক্ত করে দেশের বিভিন্ন সেক্টরগুলোকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে সংস্কার করে স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের রাহু থেকে পুনরায় গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে দলটি নিরলস প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব নূরুল হক। তিনি বলেন, দেশের সকল আইন কানুন মেনেই দলটি পরিচালিত হচ্ছে, জনাব সোহেল রানাকে চেয়ারম্যান ও জনাব তৌহিদুল ইসলামকে মহাসচিব করে আনুষ্টানিকভাবে ৫৭০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি আগামী ৫ বছরের জন্য অনুমোদিত হয়েছে। আর শুদ্ধি অভিযানে দলের ভিতর অনিয়ম, দূর্নীতি ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে বহিস্কার করা হয়েছে। দেশের প্রায় প্রতিটি জেলা উপজেলায় নতুন কমিটির অনুমোদন ও কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সারাদেশে নেতাকর্মীদেরকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দেশের সক্রিয় রাজনৈতিক দল হিসেবে বিআরপি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অনিয়ম ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্ছার রয়েছে।
নবগঠিত কমিটি প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি)-র চেয়ারম্যান মো. সোহেল রানা বলেন; "বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি) সবসময় জাতীয় ঐক্য, সুশাসন ও উদ্ভাবনের নীতি সামনে রেখে এগিয়ে এসেছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সংস্কারের মাধ্যমেই দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব। আমাদের লক্ষ্য হলো জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করে বাংলাদেশকে একটি আধুনিক, ন্যায়ভিত্তিক ও কল্যাণমুখী রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করা। দেশের রাজনৈতিতে আমাদের প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে আর নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশন আমাদেরকে যোগ্য মনে করে সর্বশেষ ১২ টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি)কে রাখায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। এবং সারাদেশের সকল নেতাকর্মীসহ শুভানুধ্যায়ীদেরকেও সংগ্রামী শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছি।“
অন্যদিকে দলের মহাসচিব মো. তহিদুল ইসলাম বলেন, "সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। জনগণের চাহিদা ও সময়ের প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক কর্মসূচি তৈরি করতে হয়। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সংস্কারের মাধ্যমেই জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব এবং একটি স্বচ্ছ ও উন্নয়নমুখী রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করা যায়।" তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি) দীর্ঘদিন ধরে একটি মূলমন্ত্র নিয়ে কাজ করে আসছে। তা হলো; “সংস্কারেই পরিবর্তন, পরিবর্তনেই বাংলাদেশ।”
তিনি আরও বলেন, "আল্লাহর রহমতে যতদিন আমি দায়িত্বে থাকবো, দলের ভেতরে কোনো প্রকার অনিয়ম, দুর্নীতি বা ব্যক্তিস্বার্থকে স্থান দিতে দেব না। আমাদের অঙ্গীকার হলো দলকে একটি স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ও গণমুখী রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে গড়ে তোলা। আগামী পাঁচ বছরে আমরা একাধিক জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করবো—যার মধ্যে শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবার সম্প্রসারণ এবং যুবশক্তির কার্যকর ব্যবহারের বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পাবে। আর নির্বাচন কমিশনের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আর সারাদেশের নেতাকর্মীসহ অগনিত শুভানুধ্যায়ীদের প্রতিও জানাচ্ছি সংগ্রামী শুভেচ্ছা।"
আমার বার্তা/এমই