ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে প্রার্থিতা ও ব্যালট নম্বর পুনর্বহালের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন মো. জুলিয়াস সিজার তালুকদার। একইসঙ্গে তার নাম ও ব্যালট নম্বর পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, জুলিয়াস সিজার তালুকদারের নাম ও ব্যালট নম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত এবং তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের তিন সদস্যের কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না—মর্মে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে।
ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন জুলিয়াস সিজার তালুকদার। গত ২৬ আগস্ট যাচাই-বাছাই শেষে নির্বাচন কমিশন ডাকসুর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে। সেখানে ভিপি প্রার্থী হিসেবে তার নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং ব্যালট নম্বর নির্ধারণ করা হয় ২৬।
কিন্তু চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের হাউস টিউটর ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেন, জুলিয়াস সিজার নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত। পরে অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনালে শুনানি হলেও ট্রাইব্যুনাল কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না দিয়ে কমিশনে সুপারিশ পাঠায়। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন জুলিয়াস সিজারের প্রার্থিতা ও ব্যালট নম্বর বাদ দেয়।
অভিযোগের বিষয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দেওয়ার অভিযোগ তুলে গত ২৭ আগস্ট চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তাকে আইনি নোটিশ পাঠান জুলিয়াস সিজার তালুকদার। তাতে সাড়া না পেয়ে শেষ পর্যন্ত প্রার্থিতা ফিরে পেতে ও নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করতে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, জুলিয়াস সিজার তালুকদার সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
আমার বার্তা/এমই