রাজধানীর ছয় এলাকার ১০টি নাগরিক সেবাকেন্দ্র থেকেই পাসপোর্টের আবেদন ও নবায়ন সংক্রান্ত সেবা নেওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তার ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব লিখেছেন, ‘রাজধানীর গুলশানে নাগরিক সেবাকেন্দ্রে পাসপোর্ট সেবার উদ্বোধন করেছেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিকবিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী। দেশে প্রথমবারের মতো পাসপোর্ট অফিসের বাইরে উদ্যোক্তানির্ভর নাগরিক সেবাকেন্দ্রে পাসপোর্টের আবেদন এবং নবায়ন সংক্রান্ত সেবা নিয়ে আসলো নাগরিক সেবা। বর্তমানে পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন, এনআইডি সংক্রান্ত সেবাসহ বিভিন্ন সরকারি অফিস, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদের মোট ৪০০টি সেবা নিয়ে নাগরিক সেবার পাইলট এবং লার্নিং প্রোগ্রাম চলছে।’
বিশেষ সহকারী আরও লেখেন, ‘গুলশান ১, উত্তরা সেক্টর ৬, নীলক্ষেত, রমনা, মোহাম্মদপুর এবং বনশ্রী- এ ছয়টি স্থানে চলতি মাসের শেষে একযোগে ১০টি নাগরিক সেবা পাইলট চালু হবে। এরই মধ্যে গুলশান ১, উত্তরা এবং নীলক্ষেতের নাগরিক সেবা কেন্দ্রগুলো পুরোদমে সচল রয়েছে। ঢাকার ছয়টি (পাইলট প্রোগ্রামের মোট ১০টি) নাগরিক সেবা কেন্দ্রের মধ্যে যেটি আপনার নিকটতম, সিটি ভিজিট করুন, নাগরিক সেবাকেন্দ্রের কাছে আপনার সেবা চাহিদা কি সেটা জানান এবং এই সেবার মান উন্নয়নে পরামর্শ দিন।’
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব উল্লেখ করেন, ‘প্রতিটি সরকারি অফিসের সেবাকে এক জায়গায় এনে নাগরিকদেরকে হয়রানি মুক্ত সেবাদানের লক্ষ্যে নাগরিক সেবার মাধ্যমে ন্যাশনাল এপিআই কানেক্টিভিটি হাত তৈরি করা হচ্ছে। এর ফলে ভিন্ন ভিন্ন অফিসের শত শত ওয়েবসাইটে গিয়ে আলাদাভাবে সেবার আবেদন করার প্রয়োজন পড়বে না, বরং এক জায়গায় সব সেবা পাওয়ার জন্য একটা ন্যাশনাল কানেক্টিভিটি হাফ দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। অতীতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অনলাইন সেবা, ডিজিটাল সেন্টারসহ যেসব ডিজিটাল আইল্যান্ড করা হয়েছে নাগরিক সেবা সেগুলোকেও ইন্টারঅপারেবল করবে।’
নাগরিকদের প্রয়োজনীয় সব সেবা এক জায়গায় দিতে এটি বাংলাদেশের প্রথম সিটিজেন সার্ভিস কানেক্টিভিটি হাব উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নাগরিক সেবাকেন্দ্র ভিজিট করুন, আপনার পরামর্শ এ সেবার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ।’
আমার বার্তা/এমই