ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস স্থাপনে আপত্তি জানিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অনুমোদন বাতিলের আল্টিমেটাম দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। দাবি মানা না হলে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে লাগাতার কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
রোববার (১০ আগস্ট) বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা” ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংবাদ সম্মেলনে আয়োজক ঢাবি শিক্ষার্থী জিয়াউল হক।
তিনি বলেন, অতীতে বিভিন্ন এনজিওর অর্থায়নে স্কুল সিলেবাসে ‘শরীফ-শরীফার গল্প ঢুকিয়ে ট্রান্সজেন্ডার বা সমকামিতাকে বৈধ করার চেষ্টা হয়েছিল। জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের ওয়েবসাইটে এলজিবিটিকিউ বা সমকামিতাকে ‘অধিকার’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে তা প্রমোট করার কথা উল্লেখ রয়েছে। তাদের মতে, এই অফিস বাংলাদেশে থাকলে স্কুলকলেজ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত পাঠ্যক্রমে সমকামিতার অন্তর্ভুক্তি বাধ্যতামূলক হয়ে যাবে, যা দেশের মূল্যবোধ, সামাজিক কাঠামো ও পারিবারিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করবে।
তিনি আরও বলেন, এতে অঙ্গহানির মাধ্যমে লিঙ্গ পরিবর্তনের প্রবণতা বাড়বে, শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকৃতি দেখা দেবে এবং অভিভাবকরা সন্তানদের নৈতিক অধঃপতনে হতাশ হয়ে পড়বেন। একইসঙ্গে পুনরায় কোটা প্রথা ফিরিয়ে এনে ট্রান্সজেন্ডার/সমকামী কোটার পাশাপাশি ‘সমকামী ইমাম’ কোটাও চালু হতে পারে।
জিয়াউল আরও দাবি করেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার ওপর আঘাত হানবে, পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিতিশীলতা তৈরি করবে এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদদ দেবে। তাদের মতে, এতে ধর্ম পালন ও প্রচারের স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়বে, পতিতাবৃত্তি বৈধতা পাবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হবে। তারা আরও অভিযোগ করেন, ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের মতো অপরাধে জড়িতদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে জাতিসংঘ বাধা দেবে।
হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, কোনো অবস্থাতেই জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস বাংলাদেশে থাকতে পারে না। আমরা একাধিকবার সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছি, কিন্তু কর্ণপাত করা হয়নি। তাই অন্তর্বর্তী সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিচ্ছি—এই সময়ের মধ্যে অফিস বাতিল করতে হবে, নইলে লাগাতার কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো।
আমার বার্তা/এমই