যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণে ৬৭০ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে। ফেল করা বিষয় থেকে বিভিন্ন গ্রেডে পাস করেছেন ১৮৭ পরীক্ষার্থী। নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৭১ জন।
রোববার (১০ আগস্ট) সকালে এসএসসি পরীক্ষার খাতা পুনঃনিরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. আব্দুল মতিন।
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, যশোর বোর্ডের অধীন খুলনা বিভাগের ১০ জেলা থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন এক লাখ ৩৮ হাজার ৮৫১ শিক্ষার্থী। পাস করেন এক লাখ দুই হাজার ৩১৯ শিক্ষার্থী। যশোর বোর্ডে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পান ১৫ হাজার ৪১০ শিক্ষার্থী।
তবে বোর্ডের ফলে সন্তুষ্ট না হয়ে পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেন ৪৯ হাজার ৭৭৯ জন পরীক্ষার্থী। রোববার সেই পুনঃনিরীক্ষণের ফলাফলে ৬৭০ জন শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়।
ফেল থেকে পাস করেছেন ১৮৭ জন। নতুন করে পাস করা ১৮৭ জনের মধ্যে ২৩ জন এ গ্রেড, ৩৩ জন এ মাইনাস, ২৩ জন বি গ্রেড, ৩৪ জন সি গ্রেড ও ৭৪ ডি গ্রেড পেয়েছে। নতুন করে ২৭১ জন জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে এ গ্রেড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৬৫ জন। এ মাইনাস থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩ জন। বি গ্রেড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২ জন। সি গ্রেড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ জন। এছাড়া এ মাইনাস থেকে এ গ্রেড পেয়েছেন ১৩৩ জন। বি গ্রেড থেকে এ মাইনাস পেয়েছেন ৫৫ জন। বি থেকে এ গ্রেড পেয়েছেন ৩ জন। সি থেকে বি গ্রেড পেয়েছেন ১৩ জন। সি থেকে এ মাইনাস পেয়েছেন ৪ জন। ডি থেকে সি গ্রেড পেয়েছেন ৪ জন।
অভিভাবক ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুনঃনিরীক্ষণে যশোর বোর্ডে অধিকহারে ফল পরিবর্তন হওয়ায় আবেদন বেশি পড়ছে। এছাড়া বিভিন্ন গ্রেড থেকে পাস করা এবং জিপিএ-৫ পাওয়ায় পূর্বের পরীক্ষকদের দক্ষতা আর দায়িত্বশীলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তারা বলছেন, পূর্বে যারা পরীক্ষক ছিলেন, তারা কীভাবে এ উত্তরপত্রগুলো মূল্যায়ন করেছেন।
তবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. আব্দুল মতিন বলেন, পরীক্ষার উত্তরপত্রে নম্বর যোগফল গণনার কারণে পুনঃনিরীক্ষার রেজাল্টে পরিবর্তন আসে। সব শিক্ষক সমান নয়। কিছু কিছু শিক্ষক দায়িত্বহীনতার প্রমাণ দিয়েছেন। এছাড়া এবার প্রশ্নপত্র নিয়েও কিছু সমস্যা ছিল। কিছু প্রশ্নে উত্তর চারটিই ওপেন ছিল। কিন্তু খাতা মূল্যায়নের শিক্ষক সেদিকে খেয়াল না রেখে ভুল নম্বর দিয়েছেন। এবার অভিজ্ঞ পরীক্ষক দিয়ে খাতা পুনঃনিরীক্ষা করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী যে প্রাপ্য ফলাফল সেটাই দেওয়া হয়েছে।
আমার বার্তা/এল/এমই