ইসলামে চুরি অত্যন্ত গর্হিত পাপ ও দণ্ডনীয় অপরাধ। চোর কোনো কিছু চুরি করলে ওই বস্তুর মালিক হয়ে না এবং ওই বস্তুটি বিক্রি করার অধিকারও তার থাকে না। বরং চোরাই মাল মূল মালিকের কাছে হস্তান্তর করা ওয়াজিব। সর্বোচ্চ চেষ্টার পরও মূল মালিকের কাছে হস্তান্তর করা সম্ভব না হলে সওয়াবের নিয়ত ছাড়া সদকা করে দেওয়া ওয়াজিব।
চোরের জন্য চোরাই মাল বিক্রি করা যেমন জায়েজ নয়, জেনেশুনে চোরাই মাল কেনা এবং তা ব্যবহার করাও জায়েজ নয়। কোনো মার্কেট যদি চোরাই মালের মার্কেট হিসেবে প্রসিদ্ধ হয় এবং এ ব্যাপারে নিশ্চিত জ্ঞান বা প্রবল ধারণা থাকে যে, ওই মার্কেটে যা বিক্রি করা হয় তা চুরিকৃত তাহলে কারো জন্য ওই মার্কেট থেকে কোনো কিছু কেনা এবং তা নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করা জায়েজ হবে না।
হজরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি চোরাই মাল জেনেশুনে কিনলো, সে চুরির গুনাহ এবং লাঞ্ছনার ক্ষেত্রে অংশীদার হলো। (সুনানে বায়হাকী: ১১১৪১, মুসতাদরাকে হাকেম: ২২৫৩)
কেউ যদি এ রকম মার্কেট থেকে বা চোরের কাছ থেকে চোরাই কিছু কিনে থাকে, তার জন্য ওই বস্তু ব্যবহার করা জায়েজ নয়। বরং ওই বস্তু প্রকৃত মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা জরুরি। কোনোভাবেই মূল মালিকের সন্ধান পাওয়া সম্ভব না হলে তা সদকা করে দিতে হবে।
আমার বার্তা/এল/এমই