যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে একটি বহুতল অফিস ভবনে বন্দুকধারীর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ চারজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
নিহত ওই পুলিশ কর্মকর্তা বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত বলে জানিয়েছেন সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস। তিনি তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ (এনওয়াইপিডি) সোমবার গুলিতে নিহত পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামের ছবি প্রকাশ করেছে। নিউইয়র্কের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দিদারুল ইসলাম দুই সন্তানের বাবা ছিলেন এবং তার স্ত্রী গর্ভবতী।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ বলেছে, দিদারুল ইসলাম “আমাদের বিভাগের সেরা প্রতিনিধিত্ব করেছেন”।
পোস্টে উল্লেখ করা হয়, “তিনি যখন নিউইয়র্কবাসীদের রক্ষা করছিলেন, তখনই তার জীবন মর্মান্তিকভাবে থেমে গেল। এই অপূরণীয় দুঃখের সময় আমরা প্রার্থনায় একত্রিত। আমরা চিরকাল তার স্মৃতিকে সম্মান জানাবো।”
নিউইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস জানিয়েছেন, নিহত অফিসার তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে নিউইয়র্ক পুলিশে কর্মরত ছিলেন এবং তিনি বাংলাদেশ থেকে আসা একজন অভিবাসী। মেয়র অ্যাডামস তাকে “অফিসার ইসলাম” বলে উল্লেখ করেন।
নিউইয়র্ক সিটি পুলিশের কমিশনার জেসিকা টিশ জানিয়েছেন, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ওই কর্মকর্তার নাম দিদারুল ইসলাম। তিনি জানান, অফিসার দিদারুল ইসলাম বিবাহিত ছিলেন এবং তার দুটি সন্তান রয়েছে। তার স্ত্রী তৃতীয় সন্তানের মা হতে চলেছেন।
তিনি আরও বলেন, “আমরা তাকে যে কাজটি করতে বলেছিলাম তিনি সেই কাজটিই করছিলেন। তিনি চূড়ান্ত ত্যাগ স্বীকার করেছেন।”
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার বলেন, হামলার পর সন্দেহভাজন ব্যক্তির গাড়িতে একটি এম-ফোর রাইফেল এবং গুলিবিদ্ধ ম্যাগাজিনসহ একটি রিভলবার পাওয়া গেছে। তার নেভাদা অঙ্গরাজ্যের ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল বলেও তিনি নিশ্চিত করেছেন।
সন্দেহভাজন বন্দুকধারীকে নিষ্ক্রিয় করার পর ঘটনাস্থলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কথা জানিয়েছে নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ। তবে কী কারণে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে তা এখনো জানা যায়নি। সিবিএস নিউজের মতে, হামলাকারী তার নিজের গুলিতে মারা গেছে।
আমার বার্তা/জেএইচ