হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের গবেষক শাহাব হাঘায়েঘের মতে, রাতে উষ্ণ পানিতে গোসল করলে ঘুমের মান উন্নত হয়। তার গবেষণায় দেখা গেছে, ঘুমের ১-২ ঘণ্টা আগে উষ্ণ পানি দিয়ে গোসল শরীরকে ঠাণ্ডা হতে সহায়তা করে, যা গভীর ঘুমে যেতে সাহায্য করে। এটি আমাদের স্বাভাবিক সারকেডিয়ান রিদম বা ২৪ ঘণ্টার শরীরচক্রের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ।
রাতের গোসল শুধু ঘুম নয়, সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতেও সহায়ক। দিনের শেষে মানসিক চাপ কমে যাওয়ায় গোসলের সময় অনেকের মাথায় নতুন ও সৃজনশীল ধারণা আসে।
এছাড়া, রাতে বাইরে থেকে ঘরে ফিরে গোসল করলে শরীরের ধুলাবালি, ঘাম ও জীবাণু দূর হয়। এতে ত্বক পরিষ্কার থাকে এবং সারারাত স্বাস্থ্যকরভাবে নিজেকে পুনর্গঠন করতে পারে।
ঘুম থেকে উঠে গোসল করা শরীরকে সতেজ করে তোলে। মনোবিজ্ঞানী শেলবি হ্যারিস জানান, সকালে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল মস্তিষ্ককে সক্রিয় করে এবং ক্লান্তি দূর করে। এমনকি ল্যাভেন্ডার বা রোজমেরির মতো সুগন্ধিও মেজাজ ভালো রাখতে সহায়ক।
সকালের গোসল শরীর থেকে মৃত কোষ ও রাতে ঘাম ঝরার পর তৈরি হওয়া অস্বস্তিকর অনুভূতিও দূর করে। ফলে কাজের দিনে চনমনে ভাব পাওয়া যায় এবং ব্যক্তিগত পরিপাটিতাও বজায় থাকে।
জীবনধারা ও অভ্যাস অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিন
যারা শারীরিক পরিশ্রমের কাজ করেন বা সারা দিন বাইরে থাকেন, তাদের জন্য রাতে গোসল করাই উত্তম। অন্যদিকে, যারা সকালে চনমনে হয়ে অফিস বা কাজে যেতে চান, তাদের জন্য সকালের গোসল উপযোগী।
গোসলের সময় নির্ধারণ করার আগে ভাবুন আপনার প্রয়োজন ঘুম, সতেজতা, ত্বকের যত্ন না কি সৃজনশীলতা?
একই সাবান পরিবারের সবাই ব্যবহার করা নিয়ে যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা
এক কথায়, গোসলের সময় বেছে নেওয়াটাও হতে পারে স্বাস্থ্যবান জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
সূত্র: টাইম ম্যাগাজিন
আমার বার্তা/এল/এমই