নীতিবোধ বনাম তোষামোদের দ্বন্দ্ব এই বাস্তবতা নিয়েই শুরু হচ্ছে নতুন ধারাবাহিক নাটক। এর নাম রাখা হয়েছে ‘তেল ছাড়া পরোটা’। নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন কচি খন্দকার।
নাটকটির কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তু সমাজে বসবাসকারী দুই ধরনের মানুষ। একদল বিশ্বাস করে উন্নতির জন্য ‘তেল’ বা তোষামোদের বিকল্প নেই। অন্য দলটি তোষামোদবিমুখ, নীতির জায়গায় অটল থেকে লড়ে যায় প্রতিকূলতার সঙ্গে। এই দুই বিপরীত দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিনিধিত্ব করে নাটকের দুটি পরিবার।
একটি পরিবার একসময় তিলের খাজার ব্যবসা করত। এখন তারা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ক্ষমতাবানদের তোষামোদ করে বিশাল ব্যবসা গড়ে তুলেছে। তাদের ব্যবসা সরিষার তেল, নারিকেল তেলের। এমনকি পেট্রলের ব্যবসাও আছে। তাদের কোম্পানির নাম তিলের খাজা অয়েল মিল কোম্পানি লিমিটেড।
অন্যদিকে, রয়েছে আরেক পরিবার যারা সোজাসাপ্টা জীবনযাপনে অভ্যস্ত। তোষামোদ নয়, তারা নিজেদের নীতিতেই বিশ্বাসী। এই দুই পরিবারের মধ্যকার সাংস্কৃতিক, নৈতিক ও সামাজিক সংঘাত নিয়েই এগোবে ‘তেল ছাড়া পরোটা’র কাহিনি।
নাটকের পেছনের প্রেরণা সম্পর্কে পরিচালক কচি খন্দকার বলেন, ‘এই সমাজে অনেক মেধাবী মানুষ আছে, যারা যোগ্য হলেও সুযোগ পায় না। কারণ তারা তেল দিতে পারে না। আবার অনেক অযোগ্য মানুষ তেল দিয়েই উন্নতির শিখরে পৌঁছে যায়। এটা আমার ব্যক্তিগতভাবে কষ্ট দেয়। এই যন্ত্রণাই নাটকের গল্প লেখার অনুপ্রেরণা।’
তিনি আরও বলেন, ‘একজন মানুষ যখন সত্য-মিথ্যার বাছবিচার না করে শুধু নিজের স্বার্থে তোষামোদ করে, তখন সে নিজের অজান্তেই ভুল পথে হাঁটে। এভাবেই সমাজ থেকে মেধা হারিয়ে যায়।’
‘তেল ছাড়া পরোটা’ ধারাবাহিকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন কচি খন্দকার, মারজুক রাসেল, রোবেনা রেজা জুঁই, সালহা খানম নাদিয়া, চাষী আলম, মুসাফির সৈয়দ বাচ্চু, আবদুল্লাহ রানা, সুজাত শিমুল প্রমুখ।
আমার বার্তা/এল/এমই