জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ভুক্ত কলেজের শিক্ষকদের টিউশনি ও ব্যাচভিত্তিক প্রাইভেট পড়ানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি নির্দেশনার নোটিশ ছড়িয়ে পড়ে। তবে নোটিশটিকে ‘ভুয়া’ বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ভাইরাল হওয়া নোটিশে দাবি করা হয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের কোনো শিক্ষক নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের টিউশনি, কোচিং বা প্রাইভেট ব্যাচ নিতে পারবেন না। এতে আরও বলা হয়, শিক্ষকদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড সরকারি কর্মচারী আচরণবিধি, জাতীয় শিক্ষানীতি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিমালার পরিপন্থি।
ভুয়া নোটিশে সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০, ২০১২ সালের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৯২-এর বিভিন্ন ধারা উল্লেখ করে কঠোর শাস্তির কথাও বলা হয়েছিল। এতে বলা হয়, টিউশনি ও প্রাইভেট ব্যাচ চালালে শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত, বেতন স্থগিত, ক্লাস বা পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি এবং বিভাগীয় তদন্তসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নোটিশটি ভাইরাল হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। এ বিষয়ে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এটি মিথ্যা ও ভুয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো দপ্তর থেকে এমন কোনো নির্দেশনা বা চিঠি ইস্যু করা হয়নি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো নির্দেশনাটি সম্পূর্ণ ভুয়া। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এ ধরনের কোনো চিঠি ইস্যু করেনি। এটি গুজব ছড়ানোর অপচেষ্টা।’
‘ভুয়া’ নোটিশে স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. ফকির রফিকুল আলম বলেন, পোস্টটিতে আমার স্বাক্ষর স্ক্যান করে কে বা কারা অসৎ উদ্দেশ্যে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য প্রকাশ করেছে। এটি মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
আমার বার্তা/এল/এমই