ই-পেপার বুধবার, ২৮ মে ২০২৫, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

মদিনায় সবার আগে ইসলাম গ্রহণকারী ৬ সাহাবি

অনলাইন ডেস্ক:
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:০৩

ইসলাম পূর্ব সময়ে আরবের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষেরা মক্কায় এসে তাদের নিয়মে হজ পালন করতেন। হজ পালনে মক্কায় আসা কাফেলার লোকদের কাছে গিয়ে ইসলামের দাওয়াত দিতেন হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি তাদের মূর্তিপূজার অসারতা বর্ণনা করতেন। বোঝাতেন এবং তাওহীদ ও আল্লাহ্‌র একত্ববাদের দিকে তাদেরকে আহবান জানাতেন।

আবু জাহেল, আবূ লাহাবরা তার পিছু পিছু গিয়ে বহিরাগতদেরকে তার কথায় কর্ণপাত করতে মানা করতো। দুষ্টদের এ দুষ্টামী থেকে বাঁচবার জন্য জরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অধিকাংশ সময় রাতের অন্ধকারে দুই তিন মাইল পায়ে হেটে বহিরাগতদের তাবুতে গিয়ে পৌছতেন। তিনি তাদের কাছে বসতেন এবং ইসলামের দাওয়াত দিতেন।

নবুওয়তের একাদশ বছরে মদিনা থেকে খাযরাজ বংশের কিছু লোক হজ করতে এলেন মক্কায়। একবার রাতের আধারে মানুষকে ইসলামের দাওয়াত দিতে বের হলেন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। মক্কার কয়েক মাইল দূরে আকাবা নামক জায়গায় অন্ধকারের ভেতর কয়েকজন তীর্থযাত্রীকে কথা বলতে শুনতে পেলেন তিনি। তিনি তাদের কাছে গেলেন। খেয়াল করে দেখলেন সেখানে ৬ জন মানুষ কথা বলছেন। জিজ্ঞেস করে জানতে পেলেন, তারা ইয়াসরিব থেকে হজ করতে এসেছেন এবং তারা সবাই খাযরাজ বংশের লোক ৷

ইসলামপূর্ব যুগে মদিনার নাম ছিল ইয়াসরিব। ইয়াসরিবে বসবাসকারীরা তখন প্রধানত দু'ভাগে বিভক্ত ছিল। এক ভাগ ছিল ইয়াহুদী, অন্যভাগে মূর্তিপূজারী মুশরিকরা। মুশরিকদের মধ্যে আওস ও খাযরাজ নামের দুটি গোত্র ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী ও প্রসিদ্ধ ৷

মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাযরাজ গোত্রের এই ৬ জনকে ইসলামের দাওয়াত দিলেন। কোরআন শরিফের আয়াত তিলাওয়াত করে শোনালেন। তারা পরস্পরে মুখ চাওয়া-চাওয়ি শুরু করলেন এবং তৎক্ষণাৎ ঈমান আনয়ন করলেন।

মদিনায় বসবাসকারী খাযরাজ গোত্রের লোকেরা সেখানকার ইয়াহুদীদের মুখে অনেক আগে থেকেই ইসলামের কথা শুনে আসছিল। তারা ইহুদিদেরকে বলতে শুনতো যে, একজন মহা নবীর আবির্ভাব হতে যাচ্ছে। তিনি মানুষকে আল্লাহর একত্ববাদের দিকে আহ্বান করবেন এবং সবার ওপর বিজয়ী হবেন। কথাগুলো যেহেতু তারা আগে থেকেই শুনে আসছিলেন তাই মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে ইসলামের আহ্বান শোনর পর তারা তাকে নবী হিসেবে গ্রহণ করতে আর দেরি করলেন না। মদিনায় বসবাসকারী অন্যদের আগে তারাই ইসলাম গ্রহণ করলেন।

মদিনার ইসলাম গ্রহণকারী এই ৬ সাহাবির নাম হলো-

১. আবূ উমামা আসআদ ইব্নে যুরারা- (তিনি ছিলেন বনী নাজ্জারের লোক, একইসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আত্মীয়ও ছিলেন তিনি। ৬ জনের মধ্যে তিনিই সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন ।)

২. আওফ ইবনে হারিস।

৩. রাফি ইবনে মালিক।

৪. কুতবা ইবনে আমির।

৫.জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ।

৬. উকবা ইবনে আমির ইবনে নাবী।

এই ৬ জনের মধ্যে রাফি ইবনে মালিককে ওই সময় পর্যন্ত অবতীর্ণ কোরআনের আয়াতগুলোর একটি লিখিত কপি দিয়েছিলেন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। ওই ছোট কাফেলাটি সেখান থেকে মুসলমান হয়ে মদিনায় ফিরলেন। যাবার সময় তারা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, মদিনায় ফিরে তারা নিজ গোত্রের লোকদের ইসলামের দাওয়াত দেবেন, ইসলামের প্রচার-প্রসারে কাজ করবেন।

মদিনায় ফিরে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলেন তারা। নিজ গোত্রের লোকদের কাছে পৌঁছে দিলেন ইসলামের বার্তা। এভাবে ধীরে ধীরে ইসলামের আলোচনায় মুখর হয়ে উঠলো মদিনার অলি-গলি। এখান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়লো ইসলামের বাণী। (ইসলামের ইতিহাস, প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা, ১১৮)

মদিনায় সবার আগে ইসলাম গ্রহণকারী ৬ সাহাবি

অনলাইন ডেস্ক:

ইসলাম পূর্ব সময়ে আরবের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষেরা মক্কায় এসে তাদের নিয়মে হজ পালন করতেন। হজ পালনে মক্কায় আসা কাফেলার লোকদের কাছে গিয়ে ইসলামের দাওয়াত দিতেন হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি তাদের মূর্তিপূজার অসারতা বর্ণনা করতেন। বোঝাতেন এবং তাওহীদ ও আল্লাহ্‌র একত্ববাদের দিকে তাদেরকে আহবান জানাতেন।

আবু জাহেল, আবূ লাহাবরা তার পিছু পিছু গিয়ে বহিরাগতদেরকে তার কথায় কর্ণপাত করতে মানা করতো। দুষ্টদের এ দুষ্টামী থেকে বাঁচবার জন্য জরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অধিকাংশ সময় রাতের অন্ধকারে দুই তিন মাইল পায়ে হেটে বহিরাগতদের তাবুতে গিয়ে পৌছতেন। তিনি তাদের কাছে বসতেন এবং ইসলামের দাওয়াত দিতেন।

নবুওয়তের একাদশ বছরে মদিনা থেকে খাযরাজ বংশের কিছু লোক হজ করতে এলেন মক্কায়। একবার রাতের আধারে মানুষকে ইসলামের দাওয়াত দিতে বের হলেন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। মক্কার কয়েক মাইল দূরে আকাবা নামক জায়গায় অন্ধকারের ভেতর কয়েকজন তীর্থযাত্রীকে কথা বলতে শুনতে পেলেন তিনি। তিনি তাদের কাছে গেলেন। খেয়াল করে দেখলেন সেখানে ৬ জন মানুষ কথা বলছেন। জিজ্ঞেস করে জানতে পেলেন, তারা ইয়াসরিব থেকে হজ করতে এসেছেন এবং তারা সবাই খাযরাজ বংশের লোক ৷

ইসলামপূর্ব যুগে মদিনার নাম ছিল ইয়াসরিব। ইয়াসরিবে বসবাসকারীরা তখন প্রধানত দু'ভাগে বিভক্ত ছিল। এক ভাগ ছিল ইয়াহুদী, অন্যভাগে মূর্তিপূজারী মুশরিকরা। মুশরিকদের মধ্যে আওস ও খাযরাজ নামের দুটি গোত্র ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী ও প্রসিদ্ধ ৷

মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাযরাজ গোত্রের এই ৬ জনকে ইসলামের দাওয়াত দিলেন। কোরআন শরিফের আয়াত তিলাওয়াত করে শোনালেন। তারা পরস্পরে মুখ চাওয়া-চাওয়ি শুরু করলেন এবং তৎক্ষণাৎ ঈমান আনয়ন করলেন।

মদিনায় বসবাসকারী খাযরাজ গোত্রের লোকেরা সেখানকার ইয়াহুদীদের মুখে অনেক আগে থেকেই ইসলামের কথা শুনে আসছিল। তারা ইহুদিদেরকে বলতে শুনতো যে, একজন মহা নবীর আবির্ভাব হতে যাচ্ছে। তিনি মানুষকে আল্লাহর একত্ববাদের দিকে আহ্বান করবেন এবং সবার ওপর বিজয়ী হবেন। কথাগুলো যেহেতু তারা আগে থেকেই শুনে আসছিলেন তাই মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে ইসলামের আহ্বান শোনর পর তারা তাকে নবী হিসেবে গ্রহণ করতে আর দেরি করলেন না। মদিনায় বসবাসকারী অন্যদের আগে তারাই ইসলাম গ্রহণ করলেন।

মদিনার ইসলাম গ্রহণকারী এই ৬ সাহাবির নাম হলো-

১. আবূ উমামা আসআদ ইব্নে যুরারা- (তিনি ছিলেন বনী নাজ্জারের লোক, একইসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আত্মীয়ও ছিলেন তিনি। ৬ জনের মধ্যে তিনিই সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন ।)

২. আওফ ইবনে হারিস।

৩. রাফি ইবনে মালিক।

৪. কুতবা ইবনে আমির।

৫.জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ।

৬. উকবা ইবনে আমির ইবনে নাবী।

এই ৬ জনের মধ্যে রাফি ইবনে মালিককে ওই সময় পর্যন্ত অবতীর্ণ কোরআনের আয়াতগুলোর একটি লিখিত কপি দিয়েছিলেন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। ওই ছোট কাফেলাটি সেখান থেকে মুসলমান হয়ে মদিনায় ফিরলেন। যাবার সময় তারা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, মদিনায় ফিরে তারা নিজ গোত্রের লোকদের ইসলামের দাওয়াত দেবেন, ইসলামের প্রচার-প্রসারে কাজ করবেন।

মদিনায় ফিরে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলেন তারা। নিজ গোত্রের লোকদের কাছে পৌঁছে দিলেন ইসলামের বার্তা। এভাবে ধীরে ধীরে ইসলামের আলোচনায় মুখর হয়ে উঠলো মদিনার অলি-গলি। এখান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়লো ইসলামের বাণী। (ইসলামের ইতিহাস, প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা, ১১৮)

সৌদি পৌঁছেছেন ৬৮ হাজার ২৮০ হজযাত্রী, মোট ১২ জনের মৃত্যু

পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে এখন পর্যন্ত মোট ১৭৭ ফ্লাইটে ৬৮ হাজার ২৮০ বাংলাদেশি

পবিত্র ঈদুল আজহা কবে জানা যাবে সন্ধ্যায়

পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ কবে তা জানা যাবে আজ। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়

ঋণ থাকলে কোরবানি দেওয়া যাবে কি না; ধর্মীয় দৃষ্টিকোন

কোরবানির বিধানে আছে আত্মত্যাগের ঐতিহাসিক মহিমা। মহান আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হযরত ইবরাহিম (আ.) ও

পবিত্র ঈদুল আজহা কবে জানা যাবে বুধবার সন্ধ্যায়

পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ কবে তা জানা যাবে আজ। বুধবার (২৮ মে) সন্ধ্যা
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশ

ভরিতে স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৮২৩ টাকা বাড়িয়েছে বাজুস

যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চাইলেন আজহার

সৌদি পৌঁছেছেন ৬৮ হাজার ২৮০ হজযাত্রী, মোট ১২ জনের মৃত্যু

বৃহস্পতিবার ১১ ঘণ্টা যেসব এলাকায় গ্যাস থাকবে না

সিএসই কমোডিটি ডেরিভেটিভস মার্কেট চালুর অনুমোদন দিয়েছে বিএসইসি

নিরাপত্তাহীনতার নাগপাশে বন্দি বাংলাদেশ

মস্কো মিশনের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ফয়সাল আহমেদকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’

আসছে বাজেটে ঢালাওভাবে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকছে না

সিলেট-সুনামঞ্জ সীমান্তে শিশুসহ ৬৮ নারী-পুরুষকে পুশইন করলো বিএসএফ

প্রথমবারের মতো হাইকোর্টের বিচারপতি নিয়োগে গণবিজ্ঞপ্তি জারি

পাচার হওয়া সম্পদ ফেরা‌তে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ

মহাকাশে নিয়ন্ত্রণ হারাল স্পেসএক্সের রকেট, আকাশে ছড়িয়ে পড়ল ধ্বংসাবশেষ

চট্টগ্রাম বন্দরে জমেছে ৪৫ হাজারের বেশি কনটেইনার

বইয়ের ভুল চাহিদায় লাগাম টানছে এনসিটিবি, সাশ্রয় ২০০ কোটি টাকা

জবির মনোবিজ্ঞান বিভাগের নতুন চেয়ারম্যান হলেন ফাতেমা জামান

চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রাজস্ব আদায় পিছিয়ে এনবিআর

পবিত্র ঈদুল আজহা কবে জানা যাবে সন্ধ্যায়

মেক্সিকোতে পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে ১৭ মরদেহ উদ্ধার

ভ্লাদিমির পুতিনকে ফের একহাত নিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প