প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের আওতায় পরিচালিত সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির টাকা উত্তোলনের নিয়মে বড় পরিবর্তন এনেছে সরকার। এবার থেকে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা তুলতে হলে অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) যাচাইসহ বাধ্যতামূলকভাবে ‘নগদ’ মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। অন্য কোনো মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট (যেমন—বিকাশ, রকেট, উপায়, শিওরক্যাশ, এম ক্যাশ) ব্যবহার করলে সেই শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির অর্থ আগামী কিস্তিতে স্থগিত রাখা হবে।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট্রের স্কিম পরিচালক (যুগ্মসচিব) মোহাম্মদ আসাদুল হকের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, চলমান সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির আওতায় ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে ‘নগদ’ এবং অনলাইন ব্যাংক অ্যাকাউন্টধারী ছাড়া অন্যান্য মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) ব্যবহারকারীদের ‘নগদ’ এ অ্যাকাউন্ট রূপান্তর করতে হবে। একইসঙ্গে অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) যাচাই করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এইচএসপি-এসআইএ সফটওয়্যারে নিবন্ধিত মোট ১১ লাখ ৬৭ হাজার ২৩৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ৮৫ হাজার জনের তথ্য সফলভাবে ভ্যালিডেট ও ‘নগদ’-এ রূপান্তর সম্ভব হয়েছে। যা কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতির তুলনায় অত্যন্ত কম। ফলে বাকি শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির অর্থ বিতরণে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এছাড়া, যেসব শিক্ষার্থীর তথ্য অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে নিশ্চিত করা যাবে না, তাদের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর ও জানুয়ারি-জুন কিস্তির উপবৃত্তির টাকা বিতরণ স্থগিত থাকবে।
সরকার বলছে, তালিকা যাচাই ও অর্থ বিতরণের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগীদের তথ্য নির্ভুলভাবে যাচাই করা এখন বাধ্যতামূলক। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকেও বলা হয়েছে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে (২৯ মের মধ্যে) প্রয়োজনীয় রূপান্তর ও যাচাই কার্যক্রম সম্পন্ন করতে।
আমার বার্তা/এল/এমই