রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন না হলে সংস্কার অসম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
রোববার (১০ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত এক সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।
সবাইকে সাংঘর্ষিক রাজনৈতিক সংস্কৃতি থেকেও বেরিয়ে আসার পরামর্শ দিয়ে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বক্তব্যের মাধ্যমে বিষোদগার বন্ধ করতে হবে। গণতন্ত্র মানে অন্যজনের কথা শুনে সহ্য করা, তার মতকে সম্মান দেওয়া।
তিনি বলেন, মানুষের কথা বলার সুযোগ অব্যাহত থাকলে আপনা–আপনিই অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারের পতনের পর বাংলাদেশের মানুষের মনোজগতে বিশাল পরিবর্তন এসেছে, এই পরিবর্তন বুঝতে না পারলে কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তি টিকতে পারবে না।
আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, বিপ্লবোত্তর যে দেশ দ্রুত নির্বাচন করেছে, তারা ভালো করেছে; যারা দীর্ঘ সময় নিয়েছে, সেখানে অন্তঃকোন্দল বেড়েছে।
এই সরকারের আমলে বিনিয়োগ আসেনি মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এতে তাদের দোষ নেই। বিনিয়োগে বাংলাদেশ অনেক নিচে। সিরিয়াস ডিরেগুলেশন ও সিরিয়াস লিবারেলিজম ছাড়া দেশের অর্থনীতি এগিয়ে নেওয়া যাবে না।
জুলাই–আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের বাজেট অব্যাহত রাখার প্রয়োজন ছিল না মন্তব্য করে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত ছিল অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট দেওয়া। ফ্যাসিবাদের বাজেট চালিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন ছিল না।
সরকারের অনেক দায়িত্ব বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ট্রেড বডিগুলোর হাতে অনেক কার্যক্রম তুলে দিয়ে সরকারকে নির্ভার হতে হবে। ফিজিক্যাল কন্ট্রাক্ট না কমালে দুর্নীতি কমানো যাবে না।
আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, দেশে যত নিয়ন্ত্রণ (রেগুলেশন) থাকবে, তত দুর্নীতি বাড়বে। অর্থনীতিকে গণতান্ত্রিক করতে হবে, এতে সবার অংশগ্রহণ লাগবে।
আমার বার্তা/এমই