ই-পেপার বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২

জন্মই ওদের আজন্ম পাপ

অলোক আচার্য:
১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫৮

পৃথিবীতে সব মানুষের অধিকার সমান। পৃথিবীর আলো,বাতাস ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ম অনুযায়ী সবার সমান ভোগ করার কথা। তবে মানুষের মুখের বুলি এবং কাগজে তৈরি নিয়ম তো আলাদা। আইন যেমন সবার জন্য সমানভাবে প্রয়োগ করা হয় না সেভাবেই পৃথিবীর অধিকার বঞ্চিত মানুষের সংখ্যাও কম নয়। জন্মগতভাবেই মানুষ বঞ্চনার শিকার হয়। এই পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার হয় শিশুরা। সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয় শিশুরা। কারণ শিশুরা এত জটিল মানসিকতা বোঝে না। ওরা কেবল বুঝতে পারে ভালোবাসা। কোনো শিশুর জন্ম হচ্ছে রাজদালানে,কোনো শিশুর জন্ম হচ্ছে ফুটপাতে আবার কারও জন্ম হচ্ছে ডাস্টবিনে! আমরা মুখে মুখে পাপ এবং পূন্যের কথা বলি। হিসাব রাখি। সমাজে দোষী ও নির্দোষের হিসাব কষি। শুনতে নির্মম লাগলেও তো আমাদের দেশে এটা হচ্ছে। মাঝে মধ্যেই পত্রিকার পাতায় খবর দেখা যায় ডাষ্টবিনে শিশুর কান্নার আওয়াজ। কেউ একজন নবজাতকটিকে ফেলে গেছে ডাষ্টবিনে। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে শিশুটি বেঁচে যায়, আবার ভাগ্য যদি আরও বেশি খারাপ হয় তাহলে শিশুটি শিয়াল বা কুকুরের খাবারে পরিণত হয়। এই নির্মম সংবাদও আমরা পাই। যতই মানুষ সভ্যতার উৎকর্ষতার দিকে ধাবিত হচ্ছে ততই যেন মানুষ আরও বেশি হিংস্র, আরও বেশি পশুত্ব মেনে নিচ্ছে। মানুষের মন থেকে উঠে গেছে স্রষ্টার প্রতি ভীতি, উঠে গেছে মানবিকতা অথবা মানুষ হিসেবে নিজের কাজটুকু। মানুষ পরিণত হয়েছে অমানুষে। শিশুটির পরিচয় কি হবে এই দুশ্চিন্তায় তার গর্ভধারিণী মা অথবা অন্য কেউ শিশুটিকে রাস্তায় ফেলে যায়।

এই জন্মের পাপ তো শিশুটির ছিল না। ছিল এই সমাজের। দায় রয়েছে এই রাষ্ট্রের। একটি শিশুর পরিচয় দিতে কেন এত দুর্ভোগ পোহাতে হবে? মানুষ-শুধু এই সত্যটুকু মেনে নিয়ে তাকে এই সমাজে বেঁচে থাকার সাহস কেন দিতে পারবে না এই সমাজ। শিশুটি জবাব চাইবে কার কাছে। কে শিশুটির এই পরিণতির দায় নিবে। মানবাধিকার সংগঠন সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের ২০২৪ সালের হিসাব অনুযায়ী, গত বছর সারাদেশে মোট ৯৪ জন নবজাতক উদ্ধার করা হয়েছে। সবাই মৃত। সংস্থাটির হিসাব অনুযায়ী, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে সাতজন, মার্চে পাঁচজন, এপ্রিলে সর্বোচ্চ আটজন, মে মাসে ছয়জন, জুন মাসে তিনজন, জুলাই মাসে পাঁচজন, আগস্টে দুজন, সেপ্টেম্বরে সাতজন, অক্টোবর ও নভেম্বরে চারজন ও ডিসেম্¦রে ছয়জন নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের শিশু অধিকার পরিস্থিতি ২০১৭ এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই বছর রাস্তা বা ডাস্টবিন বা ঝোঁপ থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের ১৭ নবজাতককে উদ্ধার করা হয়। তার আগের বছর নবজাতক উদ্ধারের সংখ্যা ছিল ৯ জন। অর্থাৎ বছর বছর এই সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর থেকে এটা স্পষ্ট সমাজ আরও বেশি নষ্টের দিকে ধাবিত হচ্ছে। সমাজের মানুষের নীতিগুলো আজ মরে গেছে। এ কারণেই একটি নবজাতককে এই পৃথিবীতে পরিচয় দিতে এত কুন্ঠা বোধ করছি। যদি সেটাই হয় তাহলে জন্ম দিতে হবে কেন? যে পাপ আমরা বড়রা করছি সেই পাপ ঢাকতে একটি জীবন হত্যা করছি। অথচ এটিও একটি খুন! এর পিছনে কে রয়েছে তা যেমন আর জানা সম্ভব হচ্ছে না,তেমনি একটি খুনের দায়ে তাকে কোনো শাস্তি ভোগও করতে হচ্ছে না। চারদিকে অধঃপতনের সুর। পাপ নামক শব্দটি মূল্যহীন। ধর্ম মানুষকে সর্বদা সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন জীবন যাপনে উৎসাহিত করে।

এই ধর্ম বিরুদ্ধ কাজেও আমাদের মনে কোনো ভীতির সঞ্চার হচ্ছে না। এটি এমন একটি অপরাধ যা আইন দিয়ে ঠেকানো সম্ভব না। কারণ এই অপরাধের শিকার শিশুটি কারও কাছে বিচার চাইতে আসছে না। কিন্তু অপরাধ হচ্ছে। এটি ঠেকাতে সমাজে নৈতিকার চর্চা করতে হবে। ধর্মের মূল মর্মবাণী অন্তরে গ্রথিত করতে হবে। আমরা আধুনিকতার নামে অপরাধকে প্রশ্রয় দিতে পারি না। প্রতি বছর অসংখ্য শিশুকে ডাস্টবিনে কুড়িয়ে পাওয়া কোনো সমাজের আধুনিকতার পরিচায়ক হতেই পারে না। এটি বিপরীতে সমাজের নগ্ন চরিত্রের প্রকাশ। এভাবে সমাজ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। পাপ কাউকেই রেহাই দেয় না। অতীতে বহু সভ্যতার ধ্বংসের নমুনা রয়েছে। হয়তো তারা আমাদের চেয়েও জ্ঞানী ছিল। কিন্তু সমাজের নৈতিক অধঃপতন ঠেকাতে ব্যর্থ ছিল। ফলে এই পতন। আমাদের এই অধঃপতন রোধ করতে হবে। বিবেক জাগ্রত করতে হবে। মানুষের মূল্যবোধ আর মনুষ্যত্বের জাগরণ অত্যন্ত দরকার।

লেখক : শিক্ষক ও কলামিস্ট, পাবনা।

আমার বার্তা/জেএইচ

বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের ঝুঁকি ও সুযোগ

নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে সৌর ও বায়ুশক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রে।

জুড়ীর সাহিত্য সাংবাদিকতা : প্রাচীনকাল থেকে বিজ্ঞান যুগ

পূর্ব ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে নেমে আাসা জুড়ী নদীকে কেন্দ্র করে জুড়ী জনপদ গঠিত হয়েছে।

রোহিঙ্গা-রাখাইন সহবস্থান নিশ্চিতে আরাকান আর্মিকে উদ্যোগী হতে হবে

বর্তমানে বাংলাদেশ- মিয়ানমার সীমান্ত আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে এবং রাখাইন রাজ্যে তাদের আধিপত্য সুদৃঢ় করতে আরাকান

বাংলাদেশে পরিবেশ দূষণের প্রধান কারণ বায়ুদূষণ

বাংলাদেশে পরিবেশ দূষণের প্রধান কারণ হচ্ছে বায়ুদূষণ, শব্দ দূষণ ও নদী দুষণ ।বায়ু দুষণের-জন্য আমাদের-রাজধানী
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জুলাই-আগস্টে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার আইসিসিতে চাইলো অ্যামনেস্টি

ডেঙ্গুজ্বরে আরও একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪০৬ জন

নারায়ণগঞ্জে সজল হত্যা মামলায় আইভীর জামিন নামঞ্জুর

বাংলাদেশ সার্কের চেতনাকে জীবিত রাখতে চায়: প্রধান উপদেষ্টা

একজন মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তকে রক্ষা করতে পারবে না ভারত

বেলারুশকে ঢাকায় দূতাবাস খোলার অনুরোধ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

যত দ্রুত দেশকে নির্বাচনের ট্র্যাকে উঠানো যাবে ততই মঙ্গল: ফখরুল

বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে মুহুরী-সিলোনিয়া নদীর পানি

চট্টগ্রামে ফের উন্মুক্ত নালায় ডুবে প্রাণ গেল শিশুর

ট্রাম্পের শুল্ক হুমকির মধ্যেই আসিয়ানকে ঐক্যের আহ্বান আনোয়ারের

অতিরিক্ত ডিআইজি-পুলিশ সুপারসহ ১৬ কর্মকর্তাকে বদলি

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও পরিবারের ৫৭৬ কোটি টাকা ফ্রিজ

ইনস্টাগ্রাম রিলে ভিউ বাড়াতে টেক্সট-স্টিকার লাগাবেন যেভাবে

বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তানের স্বার্থের সম্ভাব্য মিলে হুমকি দেখছে ভারত

গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা নিজেই সকল গুলি চালানোর অর্ডার দিয়েছিলেন: নাহিদ

গুম কমিশনে নিখোঁজ ২০০ জনের তালিকা দিলো ইউভিইডি

উপকূলজুড়ে অতি ভারী বৃষ্টিপাত, সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

জরুরি নির্দেশনা দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাউশির চিঠি

পবিত্র হজ পালন শেষে দেশে ফিরলেন ৮০ হাজার ৫০০ জন হাজি

বিএসএফ সীমান্তরক্ষী নয়, খুনি বাহিনীতে পরিণত হয়েছে: নাহিদ