জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাশের দাবি জানিয়েছে ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দি রুরাল পূয়র (ডরপ)।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ডরপ আয়োজিত ‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাশের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক সেমিনারে এ দাবি জানানো হয়।
ডরপের উপনির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান মূল প্রবন্ধে ছয়টি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। সেগুলো হলো— সব প্রকার পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্ত করা, বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকপণ্যের প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম (সিএসআর) নিষিদ্ধ করা, শিশু-কিশোর ও তরুণদের ই-সিগারেটের ক্ষতি থেকে রক্ষায় ব্যবস্থা গ্রহণ, খুচরা ও খোলা তামাকপণ্য বিক্রয় বন্ধ করা এবং স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা।
সেমিনারে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাশের বিকল্প নেই। এ প্রক্রিয়ায় তামাক কোম্পানির মতামত নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের মহাপরিচালক মো. আখতারউজ-জামান বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশে তামাকজনিত রোগে ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মারা যায়। তবুও তামাক কোম্পানিগুলো বিভ্রান্তিকর প্রচার চালায়। ২০০৫ সালে আইন প্রণয়ন ও ২০১৩ সালে সংশোধনের পর সরকারের রাজস্ব আয় বেড়েছে সাড়ে ১২ গুণ। আবার ২০০৯ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে তামাক ব্যবহার ১৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
এনডিসির সদস্য ও সচিব (অব.) মুন্সী আলাউদ্দীন আল আজাদ অভিযোগ করেন, খসড়া আইন পর্যালোচনা কমিটির পক্ষ থেকে তামাক শিল্পের মতামত গ্রহণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা ডব্লিউএইচও এফসিটিসি’র আর্টিকেল ৫.৩ এর লঙ্ঘন। তামাক কোম্পানির মতামত নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করে দ্রুত আইন পাশ করতে হবে।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত সচিব হোসেন আলী খন্দকার বলেন, তামাকবিরোধী কার্যক্রমে তরুণ সমাজকে সচেতন করা না গেলে ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। আইন সংশোধনের প্রক্রিয়ায় জনস্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিতে হবে, তামাক শিল্পকে নয়।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন ডরপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী এএইচএম নোমান। এছাড়া আরও বক্তব্য দেন তামাকবিরোধী যুব প্রতিনিধি তাবাসসুম খানম রাত্রি ও সবুর আহমেদ কাজল প্রমুখ।
আমার বার্তা/এমই