পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, জুলাই বিপ্লব আমাদের সাম্য, মৈত্রী, মানবিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। জুলাইয়ের চেতনাকে ধারণ করে আমাদের সকলকে এগুতে হবে। জুলাই শহীদ বিপ্লবের আজকের এ পরিবর্তন আমাদের নতুনভাবে চলার প্রেরণা যুগিয়েছে।
বুধবার (১৬ জুলাই) ঢাকার বেইলি রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স ভবন অডিটোরিয়ামে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ সংস্থাসমূহের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, বৈষম্যহীন, দুর্নীতি ও স্বৈরাচারমুক্ত পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন ছিল জুলাই শহীদদের মনে। বাংলাদেশের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছে ২০২৪ সালের এই জুলাই বিপ্লব। জুলাই বিপ্লবের অগ্রযাত্রায় থেকে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি আমরা। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছি। উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
উপদেষ্টা জুলাই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ২০২৪ সালে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার সরকারকে উৎখাত করার আন্দোলনে জীবন দানকারী সকল শহীদকে আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। দেশের মঙ্গলের জন্য যারা জীবনের মায়া ত্যাগ করেছেন ও যারা চির পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন দেশবাসী তাদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে যাবে। উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, জুলাই বিপ্লব শুধু স্বৈরাচারি শাসনামলের অবসানই নয়, একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্রব্যবস্থা উপহার দিয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছে এই জুলাই বিপ্লব। আজ আমি উপদেষ্টা হয়েছি এই জুলাই বিপ্লবের শহীদদের বদৌলতেই। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া সুন্দর বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তে উন্নয়নের জোয়ারের কাজে নিজেদের নিবেদন করে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন পার্বত্য উপদেষ্টা।শহীদদের স্মরণে আগামী ২৭ জুলাই পার্বত্য তিন জেলায় ১৫ হাজার বৃক্ষ রোপণ, যুব সমাজকে মাদকমুক্ত রাখতে ফুটবল, ক্রিকেট ও হকি টুর্নামেন্টসহ নানা ক্রীড়া কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব আব্দুল খালেক। অনুষ্ঠান শেষে জুলাই শহীদদের স্মরণে মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ সংস্থাসমূহের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) অনুপ কুমার চাকমা, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার, বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থানজামা লুসাই, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. রাশিদা ফেরদৌস, অতিরিক্ত সচিব মো. মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম এনডিসি, যুগ্ম সচিব কংকন চাকমা, যুগ্মসচিব অতুল সরকার, যুগ্ম সচিব মো. মমিনুর রহমানসহ মন্ত্রণালয় ও এর সংস্থাসমূহের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
আমার বার্তা/এমই