গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ মঞ্চে হামলা করেছে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। তাছাড়া গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুর ১টা ৩৫ মনিটের দিকে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় আয়োজিত সমাবেশের মঞ্চে এই হামলা চালানো হয়।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মো. সাজেদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ‘জুলাই পদযাত্রা’র অংশ হিসেবে এনসিপি গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্কে একটি পথসভা আয়োজন করে। কিন্তু সকাল পৌনে ১০টার দিকে সদর উপজেলার উলপুর সংযোগ সড়কে ছাত্রলীগের নিষিদ্ধ ঘোষিত একটি অংশ এবং আওয়ামী লীগের কিছু সমর্থক সমাবেশে বাধা দেয়।
এ সময় পুলিশের একটি গাড়িতে হামলা চালানো হয় এবং পরে সেটিতে পেট্রল বোমা ছুড়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বিস্ফোরিত হয় কয়েকটি ককটেল। হামলায় পুলিশের অন্তত তিন সদস্য আহত হন বলে জানা গেছে।
একই দিনে সকাল ১১টার দিকে সদর উপজেলার বৌলতলী ইউনিয়নের গান্দিয়াসুর এলাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম রকিবুল হাসানের গাড়ি বহরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ইউএনও জানান, হামলার পর সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের নিরাপদে উদ্ধার করে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।
ঘটনার পর সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মির মো. সাজেদুর রহমান জানান, ছাত্রলীগের জেলা সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান পিয়ালের অনুসারীরা এই হামলায় জড়িত থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এনসিপির নেতারা অভিযোগ করেছেন, তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বানচাল করতেই এই হামলা চালানো হয়েছে।
আমার বার্তা/জেএইচ