এখনই স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার সময় নয় বলে মন্তব্য করেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, বাস্তবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আগে স্বীকৃতি দেওয়া ‘বুমেরাং হয়ে ফিরে আসতে পারে’ এবং মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংকটকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।
ইতালির শীর্ষ দৈনিক লা রিপাবলিকাকে দেওয়া শুক্রবারের এক সাক্ষাৎকারে মেলোনি বলেন, “আমি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে, তবে সেটি প্রতিষ্ঠার আগেই স্বীকৃতি দেওয়ার বিপক্ষে।” তিনি আরও যোগ করেন, “যদি এমন কিছু কাগজে-কলমে স্বীকৃতি দেওয়া হয় যা বাস্তবে এখনও নেই, তাহলে সমস্যাটি সমাধান হয়ে গেছে বলে ভুল বার্তা ছড়াতে পারে।”
মেলোনির এই মন্তব্য এসেছে ফ্রান্সের সাম্প্রতিক ঘোষণার প্রেক্ষাপটে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জানিয়েছেন, ফ্রান্স আগামী সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেবে—যা হবে প্রথম কোনো জি–৭ দেশের স্বীকৃতি।
ফ্রান্সের এই ঘোষণায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েল দাবি করেছে, ফিলিস্তিনকে আগাম স্বীকৃতি দেওয়া সন্ত্রাসবাদকে ‘পুরস্কৃত’ করার শামিল। আর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি শান্তি প্রচেষ্টার পথে ‘বড় বাধা’ হয়ে দাঁড়াবে।
এদিকে, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যরএখনই কোনো স্বীকৃতির পথে না গিয়ে বলছে, দুই–রাষ্ট্র সমাধানের পথে বাস্তব অগ্রগতিই তাদের অগ্রাধিকার।
নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড ও স্পেন এরই মধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। আন্তর্জাতিক হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য দেশের মধ্যে প্রায় ১৪৫টি দেশ ইতোমধ্যেই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
মেলোনির বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে, ইতালি এখনই সেই তালিকায় যোগ দিচ্ছে না। বরং, দেশটি চাইছে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি আসুক একটি “স্থায়ী ও অর্থবহ শান্তি প্রক্রিয়ার” অংশ হিসেবে।
আমার বার্তা/এমই