বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অফিস আদালতে একটি সাধারণ সমস্যা দিন দিন বাড়ছে কর্মক্ষেত্রে শৃঙ্খলার অভাব। সময়মতো অফিসে না আসা, অপ্রয়োজনীয় আড্ডা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অতিরিক্ত সময় ব্যয় কিংবা দায়িত্বে অবহেলার মতো আচরণ এখন অনেক প্রতিষ্ঠানেরই বড় চ্যালেঞ্জ। এই পরিস্থিতিতে বারবার উঠে আসছে একটি জরুরি বার্তা “অফিস করুন অফিসের মত”।
কর্মক্ষেত্র মানেই কেবল একটি বসার জায়গা নয়। এটি এমন একটি জায়গা যেখানে প্রতিটি মুহূর্তের মূল্য থাকে। প্রতিষ্ঠান চলতে থাকে কর্মীদের পেশাদার আচরণ, সময়নিষ্ঠা ও দলগত প্রচেষ্টার মাধ্যমে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, অনেক কর্মী ব্যক্তিগত অভ্যাস ও অসচেতন মনোভাব অফিসেও বহন করেন, যার ফলে পুরো টিমের কর্মদক্ষতায় প্রভাব পড়ে।
এই প্রসঙ্গে কর্পোরেট প্রশিক্ষক আনোয়ারুল হক বলেন, “অফিসে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করলেই শুধু প্রতিষ্ঠান লাভবান হয় না, কর্মীর ব্যক্তিগত উন্নয়নও ত্বরান্বিত হয়। প্রতিটি পদক্ষেপেই পেশাদারিত্ব দরকার”।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আধুনিক অফিস সংস্কৃতিতে কিছু মৌলিক শৃঙ্খলা অপরিহার্য যেমন, সময়মতো অফিসে প্রবেশ, সুশৃঙ্খল পোশাক, সহকর্মীদের সম্মান, মোবাইল ফোনের সীমিত ব্যবহার এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করা।
বর্তমান তরুণ সমাজ, যারা প্রথম চাকরিতে পা রাখছেন, তাদের মধ্যে এই শিক্ষা আরও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তারা এখনই যদি শৃঙ্খলা ও দায়িত্ববোধের চর্চা শুরু না করেন, ভবিষ্যতে তাদের জন্য কর্মজীবনে টিকে থাকা কঠিন হয়ে উঠবে।
অফিস একটি দায়িত্বপূর্ণ জায়গা, সামাজিক মেলামেশার স্থান নয়। এই উপলব্ধি যত দ্রুত কর্মীদের মধ্যে তৈরি হবে, তত দ্রুত গড়ে উঠবে একটি স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ।