অভ্যুত্থান ষড়যন্ত্র মামলায় এবার গৃহবন্দি হলেন ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো। শর্তভঙ্গের অভিযোগ ওঠায় এই নির্দেশ দেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। তবে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে একে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করছেন বলসোনারো।
ব্রাজিলে ২০২২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লুলা দা সিলভার কাছে পরাজয়ের পর থেকেই সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারোর বিরুদ্ধে উঠে আসে অভ্যুত্থান পরিকল্পনার অভিযোগ।
প্রসিকিউটরদের দাবি, ভোটের ফল উল্টে সেনাবাহিনীর সহায়তায় গণতান্ত্রিক সরকার উৎখাত করতে চেয়েছিলেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। এমনকি প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন বলেও উঠে আসে তদন্তে।
বিচার চলাকালীন শর্তসাপেক্ষে বলসোনারোকে জামিন দেন দেশটির আদালত। মোবাইল ব্যবহার, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপস্থিতিসহ বাড়ির বাইরে যাওয়ায় ছিল নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু বলসোনারোর বিরুদ্ধে এসব শর্তভঙ্গের অভিযোগ উঠে।
আদালতের তথ্য বলছে, নিজের ছেলের সামাজিক প্ল্যাটফর্মে ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে রাজনৈতিক উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন তিনি। যা তদন্ত প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে।
এবার তাই সাবেক এই প্রেসিডেন্টকে গৃহবন্দি করার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। বলসোনারোর বিরুদ্ধে বিচার কাজ প্রভাবিত করতে বিদেশি হস্তক্ষেপ আহ্বানের অভিযোগ তুলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আলেক্সান্দ্রে ডি মোরাস।
সোমবার (৫ আগস্ট) তিনি জানান, তার এই কর্মকাণ্ড বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আক্রমণ। ব্রাসিলিয়ায় নিজের বাড়িতে গৃহবন্দি থাকবেন বলসোনারো। নিষেধাজ্ঞা থাকবে মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহারে ,আর শুধু আইনজীবী ছাড়া বাসায় কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না বলে নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট।
তবে এই সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক ‘উইচ হান্ট’ হিসেবে বর্ণনা করছেন বলসোনারো নিজেই। বলেন, তিনি কোনো অভ্যুত্থান চাননি। রাজনৈতিক প্রতিশোধের লক্ষ্যেই এই মামলা এগোচ্ছে বলেও দাবি তার।
এদিকে বিচারকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র-ব্রাজিল সম্পর্কে তৈরি হয়েছে নতুন উত্তেজনা। এরইমধ্যে বিচারপতি মোরাসের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। আর ট্রাম্পের এমন পদক্ষেপ ব্রাজিলের বিচার ব্যবস্থায় সরাসরি হস্তক্ষেপ বলে দাবি করেছে লুলা প্রশাসন।
সূত্র: রয়টার্স
আমার বার্তা/এল/এমই