ইউক্রেনে হামলার মাত্রা বাড়িয়ে দেওয়ায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর বেজায় চটেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
একইসঙ্গে রুশ হামলা প্রতিহত করতে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাচ্ছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ডের।
এমনকি পুতিন যা বলেন, তা তিনি নিজে মানেন না বলেও মন্তব্য করেন মার্কিন রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প বলেছেন, পুতিন দিনে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলেন, কিন্তু রাত হলেই ভয়াবহ বোমা হামলা চালান ইউক্রেনে।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাবে বলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন। তবে মোটেও বিনেপয়সায় নয়, তিনি জানিয়েছেন, এর ব্যয়ভার ইউরোপীয় ইউনিয়ন বহন করবে।
স্থানীয় সময় রোববার মেরিল্যান্ডের জয়েন্ট বেস অ্যান্ড্রুজ-এ সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, আমরা সব বিনামূল্যে দিচ্ছি না। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর খরচ দিচ্ছে।
আমাদের জন্য এটি একটা ব্যবসা। তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেননি ঠিক কতগুলো মার্কিন আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বা প্যাট্রিয়ট সিস্টেম পাঠানো হবে।
এসময় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আচরণ নিয়েও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিরক্তি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, পুতিন দিনের বেলায় খুব সুন্দর করে কথা বলেন, কিন্তু রাত নামলেই বোমা ফেলেন- এটা ভালো লাগে না।
তিনি আরও বলেন, অনেকেই পুতিনকে ভিন্নভাবে চিনত। আমিও ভেবেছিলাম উনি কথা রাখেন, কিন্তু এখন মনে হচ্ছে উনি যা বলেন তা মানেন না।
ট্রাম্প জানান, তিনি সোমবার ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটের সঙ্গে বৈঠক করবেন। রুট দুই দিনের সফরে ওয়াশিংটন ডিসিতে যাচ্ছেন।
এই সফরে রুটে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এবং কংগ্রেস সদস্যদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন।
ট্রাম্প বলেন, রাশিয়ার ওপর সোমবার কোনও নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হবে কিনা, তা তখনই জানা যাবে। ট্রাম্প উল্লেখ করেন, ইউরোপ ইতোমধ্যেই রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
তিনি আবারও বলেন, আমি পুতিনের প্রতি খুব হতাশ। ওনার কথা আর কাজে মিল নেই।
প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল মার্কিন সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম ও রিচার্ড ব্লুমেনথাল “স্যাংকশনিং রাশিয়া অ্যাক্ট অব ২০২৫” নামের একটি বিল উত্থাপন করেন।
এতে প্রস্তাব করা হয়, রাশিয়ার পণ্য (যেমন তেল, গ্যাস, ইউরেনিয়াম) কিনে যে দেশগুলো আমদানি করছে, তাদের পণ্যের ওপর ৫০০ শতাংশ ট্যারিফ বসানো হবে।
ট্রাম্প গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন, তিনি সোমবার রাশিয়া নিয়ে “গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা” দেবেন, যদিও সেবিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি।
আমার বার্তা/জেএইচ