স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল)-এ চলছে বড় ধরনের শুদ্ধি অভিযান। ইতোমধ্যেই অদক্ষতা ও জাল সনদসহ নানা অভিযোগে ৭২২ জন কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। এবার আরও প্রায় এক হাজার জনকে বাদ দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে ইডিসিএল কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সামাদ মৃধা এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আমাদের উৎপাদন ক্ষমতার তুলনায় দুই হাজারের বেশি অতিরিক্ত জনবল ছিল। তাদের অনেকে অদক্ষ, আবার অনেকের ভুয়া সনদ পাওয়া গেছে। তারা কার্যত কোনো কাজ করতো না। কোম্পানির স্বার্থে এদের বাদ দিতেই হবে।
সামাদ মৃধা জানান, আগের প্রশাসন রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত পছন্দে বিপুল সংখ্যক অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ দেয়। এদের মধ্যে অনেকে অফিসে উপস্থিত থেকেও কোনো কাজ করতেন না।
আমাদের এখানে একটা কক্ষের নাম ছিল ‘রোহিঙ্গা কক্ষ’। সেখানে কর্মীদের বসিয়ে রেখে শুধু বেতন দেওয়া হতো। আমি অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে দায়িত্ব নিয়েছি- কোম্পানিকে টিকিয়ে রাখতে অদক্ষ লোক রাখব না।
ইডিসিএল এমডি জানান, কাঁচামাল ক্রয়ে আগে ছিল অস্বচ্ছতা ও অনিয়ম। এখন সেসব প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও প্রতিযোগিতামূলক দরপত্রের মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে। এতে উৎপাদন খরচ কমে গেছে এবং উৎপাদন ক্ষমতা বেড়েছে। ফলস্বরূপ ইতোমধ্যে ৩৩টি ওষুধের দাম আগের তুলনায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো হয়েছে।
সামাদ মৃধা বলেন, আগের সরকার ইডিসিএলকে কখনো যথাযথভাবে কাজে লাগায়নি। বর্তমান সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম এবং বিশেষ সহকারী স্পষ্ট করে বলেছেন- এই শিল্পের আসল লাভ মানুষের সুস্থতা। আমরা সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছি।
এমডি জানান, অতিরিক্ত ও অদক্ষ জনবল বাদ দিয়ে ধাপে ধাপে একটি দক্ষ, সাশ্রয়ী ও উৎপাদনমুখী রাষ্ট্রীয় ওষুধ শিল্প গড়ে তোলা হবে।
আমার বার্তা/এমই