সাগরকন্যা কুয়াকাটায় অনুষ্ঠিত হলো বর্ণাঢ্য “ট্যুরিজম ফেস্টিভ্যাল ও আইকনিক অ্যাওয়ার্ড–২০২৫”। পর্যটন শিল্পে সম্ভাবনা ও উন্নয়নকে কেন্দ্র করে আয়োজিত এই ঐতিহামানবাধিকার ও সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ “ট্যুরিজম আইকন স্মারক সম্মাননা” পেলেন বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা।
গ্লোবাল এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের আয়োজনে কুয়াকাটার খান প্যালেস অডিটোরিয়ামে রোববার বিকাল ৫টায় অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে পর্যটন-সংস্কৃতি-বই-চিত্রায়ণ-সম্মাননা সব মিলিয়ে এক অসাধারণ মেলবন্ধন ঘটে।
আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু: কুয়াকাটার সম্ভাবনা
"পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে কুয়াকাটার সম্ভাবনা" শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের মহাসচিব লায়ন সালাম মাহমুদ। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সম্মানিত অতিথি ও জাতীয় মানবাধিকার নেতা মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন। বিশেষ অতিথিদের মধ্যে ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী ফেরদৌস আরা, কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম এ মোতালেব শরীফ, এবং কুয়াকাটা পৌর প্রশাসক প্রকৌশলী ইয়াসিন সাদেক—যিনি তাঁর বক্তব্যে কুয়াকাটার সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের কথা তুলে ধরেন:
“এই শহর কেবল সাগরের নয়, ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিরও কেন্দ্র হতে পারে। এই সম্ভাবনা বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।”
বই মোড়ক উন্মোচন ও প্রামাণ্যচিত্র
অনুষ্ঠানে “ট্যুরিজম ফেস্টিভ্যাল ২০২৫” শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। পর্যটন শিল্পভিত্তিক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়, যা কুয়াকাটার বাস্তব চিত্র ও পর্যটন সম্ভাবনার দর্পণ হিসেবে কাজ করে।
সম্মাননা প্রদান
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ "ট্যুরিজম আইকন অ্যাওয়ার্ড–২০২৫" প্রদান করা হয়। সম্মাননা প্রাপ্তদের মধ্যে ছিলেন—
ফেরদৌস আরা, একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী
আলহাজ্ব মো. নুরুদ্দিন আহমেদ, এনটিভির পরিচালক
কনা রেজা, পান সুপারি ফাউন্ডার ও সিইও
হেলাল খান, চ্যানেল আই
মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, মানবাধিকারে অসামান্য অবদান রাখায় বিশেষভাবে সম্মানিত
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও আগামীর প্রত্যয়
ঢাকা ও স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যায়।
বক্তারা কুয়াকাটাকে আন্তর্জাতিক পর্যটন মানচিত্রে প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগের উপর জোর দেন।
এই আয়োজন শুধুমাত্র একটি উৎসব ছিল না, বরং এটি ছিল বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে জাগ্রত করার এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ—যা দেশের সংস্কৃতি, অর্থনীতি এবং আন্তর্জাতিক পরিচিতিকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় বহন করে।
আমার বার্তা/এমই