কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে শিক্ষার্থীদের গুনতে হবে সর্বনিম্ন ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। সরকারি নীতিমালায় অঞ্চলভেদে ভর্তির সর্বোচ্চ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। এর বাইরে আবেদন ফি ও বোর্ড নির্ধারিত রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত খরচও বহন করতে হবে শিক্ষার্থীদের।
সম্প্রতি প্রকাশিত কলেজ ভর্তির নতুন নীতিমালা অনুযায়ী ভর্তির অনলাইন আবেদনের জন্য নির্ধারিত ফি ২২০ টাকা। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে রেড ক্রিসেন্ট ফি বাবদ ২৪ টাকা (৪০ টাকার ৬০ শতাংশ) আদায় করতে পারবে। আর শিক্ষাবোর্ড নির্ধারিত ফি রাখা হয়েছে মোট ৩৩৫ টাকা। এই টাকা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি নিশ্চায়নের সময় বোর্ড শিক্ষার্থীর কাছ থেকে নিবে। যারমধ্যে থাকবে রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ ১৪২ টাকা, ক্রীড়া ফি ৫০ টাকা, রোভার বা রেঞ্জার ফি ১৫ টাকা, রেড ক্রিসেন্ট ফি ১৬ টাকা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফি ৭ টাকা, বিএনসিসি ফি ৫ টাকা এবং শিক্ষক কল্যাণ ও অবসর সুবিধা ফি বাবদ ১০০ টাকা।
আবার এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ভর্তি ও সেশন চার্জ নীতিমালায় বলা হয়েছে, কলেজগুলো বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনের জন্য ভিন্ন ভিন্ন হারে ভর্তি ও সেশন ফি নিতে পারবে। এরমধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে ৫ হাজার টাকা, অন্যান্য মেট্রোপলিটন (ঢাকা ছাড়া) বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে ৩ হাজার টাকা, জেলা শহরে বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে ২ হাজার টাকা, উপজেলা বা মফস্বল এলাকায় বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে ১ হাজার টাকা লাগবে।
অন্যদিকে, নন-এমপিও বা আংশিক এমপিও প্রতিষ্ঠানে ফি তুলনামূলক কিছুটা বেশি। তবে এই ধরনের প্রতিষ্ঠানেও উন্নয়ন ফি, ভর্তি ও সেশন চার্জও অঞ্চলভেদে কিছুটা ভিন্ন। নীতিমালায় সর্বোচ্চ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার ইংরেজি ভার্সনে ভর্তির ক্ষেত্রে। এতে ফি ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৫০০ টাকা। আর বাংলা ভার্সনের ভর্তি ফি ৭ হাজার ৫০০ টাকা। এছাড়া অন্যান্য মেট্রোপলিটন (ঢাকা ব্যতীত) এলাকায় বাংলা ভার্সনে ৫ হাজার টাকা, ইংরেজি ভার্সনে ৬ হাজার টাকা, জেলা শহরে বাংলা ভার্সনে ৩ হাজার টাকা, ইংরেজি ভার্সনে ৪ হাজার টাকা, উপজেলা বা মফস্বল এলাকায় বাংলা ভার্সনে ২ হাজার ৫০০ টাকা, ইংরেজি ভার্সনে ৩ হাজার টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।
আর অতিরিক্ত নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বার্ষিক ক্রীড়া মঞ্জুরি ফি বাবদ ৪০০ টাকা শিক্ষা বোর্ডে জমা দিতে হবে। একইসাথে নীতিমালায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, অনলাইনের বাইরে কোনো ম্যানুয়াল ভর্তি প্রক্রিয়া গ্রহণযোগ্য হবে না। শিক্ষার্থীদের অবশ্যই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনলাইন আবেদন ও নিশ্চায়ন সম্পন্ন করতে হবে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বাংলাদেশের সব সরকারি ও বেসরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য নতুন নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। এতে জানানো হয়েছে, আবেদন শুরু হবে ৩০ জুলাই এবং শেষ হবে ১১ আগস্ট। এবার সরকারি ও বেসরকারি কলেজে মোট আসনের ৯৩ শতাংশ থাকবে সকল শিক্ষার্থীর জন্য উন্মুক্ত। বাকি ৭ শতাংশের মধ্যে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য, ১ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য এবং ১ শতাংশ অধীনস্থ দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তাদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। তবে সংরক্ষিত কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে সেসব আসনে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে।
আমার বার্তা/জেএইচ