প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় কিন্ডারগার্টেনে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ করতে না দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছেন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা।
তারা বলছেন, সরকারের প্রশাসনে ফ্যাসিস্টের দোসর ঘাপটি মেরে আছে। তাই বৃত্তি পরীক্ষা থেকে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের বাদ দেয়া হয়েছে। আমরা কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের সুযোগ দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদ আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ দাবি জানান শিক্ষকরা।
তারা বলেন, দেশের বড় পদগুলোতে কিন্ডারগার্টেন থেকে পড়া শিক্ষার্থীরা রয়েছেন। বৃত্তি পরীক্ষা থেকে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের বাদ দেয়ার একটি চরম বৈষম্য। ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের ৫ আগস্ট এর পট পরিবর্তনের পরও ফ্যাসিস্ট সরকারের কিছু দোসর এখনো দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে সরকারকে বিপাকে ফেলার জন্য ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। যার ফলে সবার গ্রহণযোগ্য সরকারি, বেসরকারি ও কিন্ডারগার্টেন বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপণী পরীক্ষা ও ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত বৃত্তি পরীক্ষার মত আয়োজন বাতিল করে বর্তমানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর শুধুমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয় ও সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। এজন্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫ নামে ১৭ জুলাই একটি পরিপত্র জারি করেছে। এর ফলে কিন্ডারগার্টেন ও সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বেসরকারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পঞ্চম শ্রেণিতে সরকারি প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না। একটা দেশে দুইরকম ধারা কিছুতেই চলতে পারেনা, একটি বিরাট বৈষম্য ও প্রতারণার সামিল।
তারা আরো বলেন, এরূপ বৈষম্য আমরা কোনো মতেই মেনে নিতে পারি না। এ বৈষম্যের জন্য ছাত্র, জনতা, শিশু-কিশোর প্রাণ দেয় নাই। কিন্ডারগার্টেন ও সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এ দেশের প্রায় বৃহত্তর জনগোষ্ঠির সন্তানরাই পড়ালেখা করে। এ পরিপত্র জারির ফলে ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক ও শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ সকলে হতবাক ও বিস্মিত। কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ কোন মতেই দেশের সচেতন জনগণ কিছুতেই মেনে নিতে পারেনা।
এ সময় তারা ১৭ জুলাইয়ের পরিপত্র বাতিল করে আগামী ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন ও সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে পুনরায় পঞ্চম শ্রেণির সরকারি প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার পরিপত্র জারি করা হউক। এছাড়া ৩০ জুলাই সারাদেশে মানববন্ধন করা হবে। এরপরও যদি সরকার আমাদের দাবি মেনে না নেয় তা হলে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হবে।