আজ সোমবার(১৬ জুন) সকাল থেকেই বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)র সামনে ১ থেকে ১২ তম ব্যাচের নিবন্ধিত শিক্ষকগণ একত্রিত হয়ে লং মার্চ টু এনটিআরসিএ এবং শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচী পালন করছেন।
১- ১২ তম সকল নিবন্ধনধারীদের দ্রুত নিয়োগের ব্যবস্থা করার দাবি শিক্ষকদের। ১-১২ তম নিবন্ধিত নিয়োগ বঞ্চিত শিক্ষকদের যথাযথ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ সুপারিশ না হওয়া পর্যন্ত ১৯ তম সার্কুলার দেওয়া যাবে না।
২ লাখ টাকায় সনদ আর ৬ লাখ/ ৮ লাখে চাকরি প্রদান করে ৪৮ হাজার কোটি টাকার ঘুষ বাণিজ্য করেছে এনটিআরসিএ। প্রতি শূন্য পদের বিপরীতে যোগ্য শিক্ষক বাছাই করা থাকলেও নিয়োগ দেয়নি এনটিআরসিএ।
এনটিআরসি ১ থেকে ১২ তমের রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বার ব্যবহার করে ৬০হাজার জালসনদ দিয়েছে। জাল সনদের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের আড়ালে বৈধ সনদধারী আজ শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষকের অবস্হান হারাতে বসেছে।জাল সনদধারীদের চাকরীচ্যুত করে বৈধ সনদধারীদের নিয়োগের ব্যাবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন নিবন্ধিত শিক্ষকরা।
আরও জানান, এনটিআরসিএ ১ থেকে ১২ তমাদের পরিপত্র ভিন্ন থাকলেও ১৩ থেকে ১৮ তমদের পরিপত্রের সাথে মিলিয়ে একত্রিত করে হিসাব করছেন যেটা একদমই কাম্য নয়।
২০২১ খ্রিস্টাব্দ থেকে এনটিআরসিএ নানা রকম দুর্নীতি বৈষম্য স্বজনপ্রীতি, দলীয়করণ, আইনের অপব্যবহার মনগড়া নিয়ম নীতি ঘুষ বাণিজ্য করেছে। ১ থেকে ১২তম সাধারণ শিক্ষকবৃন্দরা আন্দোলন সমাবেশ এবং অধিকার বঞ্চিত হয়ে বেকারত্বের অভিশাপ নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
বৈধ সনদ অর্জন করার পরেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় এনটিআরসিএ ১ থেকে ১২ তম নিবন্ধিত বৈধ সনদধারী শিক্ষকবৃন্দদের নিয়োগ বঞ্চিত করে রেখেছেন। এ কারণে আজকে রাজপথে এসে দাঁড়িয়েছে ১ থেকে ১২ তম নিবন্ধিত শিক্ষকবৃন্দ।
আবেদনকারীর বয়স ১ জানুয়ারি ২০২০ খ্রিস্টাব্দ তারিখে ৩৫ বছর বা তার কম হতে হবে। তবে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ইনডেক্স ধারী প্রার্থী এবং মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ৩৯০০/২০১৯নং মামলার রায় অনুযায়ী ১২/৬/২০১৮ খ্রিস্টাব্দ তারিখের পূর্বে যারা শিক্ষক নিবন্ধন সনদ লাভ করেছেন তাদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা শিথিল যোগ্য।
অধ্যাদেশ জারী হওয়ার পরও নিয়োগ বন্ঞ্চিত করে রেখেছে এনটিআরসিএ। সমাধানের আশ্বাস দেওয়ার পরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি এনটিআরসিএ।
বারংবার মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করার পরেও কোন সমাধান পাননি ১-১২ তম নিবন্ধিত শিক্ষকরা। এ কারণে সকাল থেকেই এনটিআরসিএ ভবনের সামনে একত্রিত হয়েছেন ১ থেকে ১২ তম নিবন্ধিত শিক্ষকগণ।
আমার বার্তা/এল/এমই