সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলের রায় দিয়ে সরকারের কাছ থেকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। তার রায়ের পর দেশে গুম-খুনসহ নানা অপরাধমূলক কাজ করেছে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের ল রিপোর্টার্স ফোরামের (এলআরএফ) কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এমন কথা বলেন মাহবুব উদ্দিন খোকন। এসময় তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন পক্ষ থেকে খায়রুল হকের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।
মাহবুব উদ্দিন খোকন জানান, বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে এক হত্যা মামলা ও দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলা রয়েছে। তার বিচারিক জীবন ও পরবর্তী সময়ে নেওয়া পদক্ষেপগুলো দেশে বিতর্ক ও আলোচনা সৃষ্টি করেছে। তার বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত, রায় এবং পদক্ষেপ দেশের গণতন্ত্র, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও রাষ্ট্রীয় কাঠামোর জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি বলেন, তার রায়ের ফলে দেশে রাজনৈতিক হত্যা ও গুম করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে বিচারপতি তার চিকিৎসার জন্য ৩৯ লাখ টাকা নিয়েছিলেন বলেও জানান খোকন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল মামলার মূল রায় দানকারী হিসেবে রাজনৈতিকভাবে সমালোচিত খায়রুল হক। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানায় খায়রুল হকের বিরুদ্ধে জালজালিয়াতি করে রায় দেওয়া এবং রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা রয়েছে। গত বছরের ২৫ আগস্ট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল বারী ভূঁইয়া বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এছাড়া ঢাকাতেও মামলা রয়েছে।
দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ২০১০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর নিয়োগ পান খায়রুল হক। একই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে তার নিয়োগ কার্যকর হয়। পরের বছরের ১৭ মে তিনি অবসরে যান।
আমার বার্তা/এমই