জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করে দুটি আলাদা বিভাগ করে যে অধ্যাদেশ জারি হয়েছে —তা বাতিলসহ চার দাবিতে আন্দোলন করছেন সংস্থাটির কর্মীরা। ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামীকাল সোমবারও কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জারি করা অধ্যাদেশে প্রয়োজনীয় সব সংশোধনীসহ অধিকাংশ দাবির বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় একমত হওয়ায় আন্দোলন স্থগিত করে।
রোববার (২৫ মে) ঐক্য পরিষদের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বিষয়টি জানিয়েছেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, আমাদের সঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা আমাদের অধিকাংশ দাবির বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন। তাই আপাতত আন্দোলন স্থগিত করা হতে পারে। আমরা বিস্তারিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেব।
এর আগে, এদিন এনবিআর প্রধান কার্যালয়ের নিচে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সংবাদ সম্মেলন থেকে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা এবং ওষুধ ও জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জামের আমদানি-রফতানি ছাড়া সোমবার (২৬ মে) থেকে কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দফতরে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রাজস্ব ব্যবস্থার প্রয়োজনীয় ও সময়োপযোগী সংস্কারের ক্ষেত্রে আমাদের এই যৌক্তিক দাবিগুলো সরকার কী কারণে, কার প্রভাবে বা কোন অজুহাতে এখন বাস্তবায়ন করছে না- তা আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। যেহেতু আমাদের চার দাবি পূরণের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো সুস্পষ্ট ঘোষণা আসেনি, সেহেতু আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের চার দাবি হলো—
১. জারিকৃত অধ্যাদেশ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
২. অবিলম্বে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে।
৩. রাজস্ব সংস্কার বিষয়ক পরামর্শক কমিটির সুপারিশ জনসাধারণের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।
৪. জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক প্রস্তাবিত খসড়া এবং পরামর্শক কমিটির সুপারিশ আলোচনা-পর্যালোচনা করে প্রত্যাশী সংস্থা, ব্যবসায়ী সংগঠন, সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের মতামত নিয়ে উপযুক্ত ও টেকসই রাজস্ব ব্যবস্থা সংস্কার নিশ্চিত করতে হবে।
আমার বার্তা/এমই