শ্যামনগরের ৯ নম্বর বুড়ি গোয়ালিনী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের আসন্ন নির্বাচনে মেম্বার পদপ্রার্থী মোহাম্মদ আমিনুর রহমান (ছোট) কে কেন্দ্র করে এলাকায় এখন উৎসবের আমেজ। আলহাজ্ব মোঃ হযরত মোল্লার সুযোগ্য পুত্র আমিনুর রহমানকে চন্ডিপুর এবং শ্যামনগরের সর্বস্তরের মানুষ এক অভূতপূর্ব ভালোবাসা ও সম্মানের সাথে বরণ করে নিয়েছে।
ফুলের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনে সিক্ত এই গণসংবর্ধনা প্রমাণ করে, জনগণের মাঝে তার গ্রহণযোগ্যতা এবং জনপ্রিয়তা কতটা গভীর। দীর্ঘদিন ধরে এলাকার উন্নয়নে নিবেদিতপ্রাণ এই তরুণ সমাজসেবক এখন এলাকাবাসীর কাছে পরিবর্তনের প্রতীক হয়ে উঠেছেন।
এলাকাবাসীর মতে, আমিনুর রহমান কেবল একজন সম্ভাব্য জনপ্রতিনিধি নন, বরং তিনি একজন সত্যিকারের সমাজসেবী। বিভিন্ন সময়ে এলাকার অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো, তাদের দুঃখ-দুর্দশার কথা শোনা এবং সাধ্যমতো সমাধানের চেষ্টা করার মাধ্যমে তিনি সাধারণ মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। এলাকাবাসী দৃঢ় বিশ্বাস করে যে, এমন একজন সৎ, যোগ্য ও কর্মঠ ব্যক্তি যদি নির্বাচনে জয়লাভ করেন, তবে এলাকার চেহারা পাল্টে যাবে। বিশেষ করে, খেটে খাওয়া মানুষ, কৃষক, দিনমজুর এবং বিভিন্ন পেশার সাধারণ মানুষ তার কাছ থেকে বিশেষ সহযোগিতা পাবেন বলে তারা আশাবাদী। তারা মনে করেন, আমিনুর রহমানের মতো একজন ব্যক্তি ক্ষমতায় এলে জনগণের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব হবে এবং ওয়ার্ডের প্রতিটি কোণে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগবে।
বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন আমিনুর রহমানের বড় ভাই মোহাম্মদ শাহিন। তিনি আমার বার্তার সাথে এক সাক্ষাৎকারে তার ছোট ভাইয়ের প্রতি জনগণের অকুণ্ঠ ভালোবাসায় গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “সৎ, ভালো এবং মেহনতি মানুষের শত্রু সবসময় বেশি থাকে। আল্লাহ তাদেরকে কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন করেন, যাতে তারা আরও শক্তিশালী হয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। আমার ভাইও তেমন একটি কঠিন সময় পার করে এসেছে। কিন্তু জনগণের ভালোবাসা এবং দোয়া তাকে নতুন করে শক্তি দিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, আগামী নির্বাচনে এলাকাবাসী বিপুল ভোটে আমার ভাইকে নির্বাচিত করে তাদের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেবে।” মোহাম্মদ শাহিনের এই মন্তব্য ভাইয়ের প্রতি তার গভীর আস্থা এবং ভালোবাসারই প্রতিফলন।
আমিনুর রহমানের পিতা আলহাজ্ব মোঃ হযরত মোল্লাও পুত্রের এই জনপ্রিয়তায় অত্যন্ত গর্বিত। তিনি বলেন, “আল্লাহর রহমতে আমার ছোট ছেলে জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর জনগণের আরও বেশি আস্থাভাজন হয়েছে। এলাকার সর্বস্তরের মানুষ তাকে যে ভালোবাসা এবং সম্মান দেখাচ্ছে, তাতে আমি অত্যন্ত খুশি। আমি চাই আমার ছেলে নির্বাচিত হয়ে এলাকাবাসী এবং জনগণের জন্য কিছু করুক। মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই তার জীবনের প্রধান লক্ষ্য হোক।” তার এই কথাগুলো থেকে বোঝা যায়, তিনি শুধু তার ছেলের জয় চান না, বরং তিনি চান তার ছেলে যেন জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখে।
এই গণসংবর্ধনা কেবল একজন প্রার্থীর আগমন নয়, এটি শ্যামনগরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের জনগণের হৃদয়ে জেগে ওঠা এক নতুন আশার প্রতিফলন। তারা একজন সৎ, নিবেদিতপ্রাণ এবং জনদরদী নেতা চান, যিনি তাদের স্বপ্নগুলোকে বাস্তবে রূপ দেবেন। আমিনুর রহমান (ছোট)-এর প্রতি জনগণের এই অকুণ্ঠ সমর্থন প্রমাণ করে যে, তারা সঠিক নেতৃত্ব বেছে নিতে কতটা আগ্রহী। এখন দেখার বিষয়, তাদের এই ভালোবাসা এবং সমর্থন আগামী নির্বাচনে তাকে বিজয়ের মুকুট পরিয়ে দিতে পারে কিনা।