খুলনা-১ আসন (বটিয়াঘাটা ও দাকোপ) নিয়ে সরগরম রাজনীতি। মোট ভোটার ২ লাখ ৮২ হাজার ৪৮৩ জন। দীর্ঘ ২৯ বছর ধরে আওয়ামী লীগের একচেটিয়া আধিপত্য থাকলেও এবার বিএনপি আসন পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছে।
১৯৯৬ সালে বিএনপির প্রফুল্ল কুমার মণ্ডল সর্বশেষ জয়ী হন। তবে সেই নির্বাচনের পর উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের পঞ্চানন বিশ্বাস জয় পান। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বিজয়ী হয়ে আসছেন। সর্বশেষ ২০২৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ননী গোপাল মণ্ডল এ আসনে বিজয়ী হন।
বিএনপির সম্ভাব্য ৬ মনোনয়ন প্রত্যাশী ইতোমধ্যেই এলাকায় সরব হয়েছেন। তারা হলেন— আমীর এজাজ খান, জিয়াউর রহমান পাপুল, পার্থ দেব মণ্ডল, অ্যাডভোকেট গোবিন্দ হালদার, এস এম শামীম কবির ও তৈয়েবুর রহমান। শুভেচ্ছা পোস্টার, সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ এবং জনসংযোগের মাধ্যমে তারা প্রচারণা চালাচ্ছেন।
অন্যদিকে তৃণমূল বিএনপি নেতাকর্মীরা বলছেন, ধানের শীষ যার হাতে যাক, সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে লড়বে। তবে আসনটিতে ৪৪ শতাংশ হিন্দু ভোটার থাকায় প্রার্থীদের কৌশলও ঘুরছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটকে ঘিরে। স্থানীয়রা বলছেন, উন্নয়ন ও অবাধ প্রতিযোগিতাই তাদের প্রধান প্রত্যাশা।
শুধু বিএনপিই নয়, অন্যান্য দলও সক্রিয় হয়েছে। জামায়াত থেকে শেখ আবু ইউসুফ, ইসলামী আন্দোলন থেকে মাওলানা আবু সাঈদ এবং গণঅধিকার পরিষদ থেকে জাহিদুর রহমান জাহিদ প্রচারণায় নেমেছেন। ইসলামী আন্দোলন এ আসনসহ খুলনার ৬টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে, তাদের প্রতীক ‘হাতপাখা’।
সর্বশেষ নির্বাচনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক ভোটে অনিয়মের অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেছিলেন। আর খুলনার ৬ আসনে মোট ৩৯ প্রার্থীর মধ্যে ৩০ জন জামানত হারিয়েছেন।
সব মিলিয়ে খুলনা-১ আসনে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে দ্বন্দ্ব, সম্ভাবনা ও কৌশল— সবকিছুই জমে উঠতে শুরু করেছে।