সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সরকারি তিতুমীর কলেজের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সাব্বির হোসেনকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে ওলামা দল নেতা।
হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ৩ নং সগুনা ইউনিয়ন ওলামা দলের সভাপতি ও জেলা ওলামা দলের আহ্বায়ক সদস্য বাঁধন সরকার।
গত রবিবার (১৮ মে) সকালে উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের পতিরামপুর গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ওলামা দল নেতা বাঁধন তার উপর দুইবার হামলা করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রথমে শনিবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় সাব্বির হোসেনকে তার পিতার সাথে জমিজমা সংক্রান্ত শত্রুতার জেরে প্রায় এক ঘণ্টা যাবত নির্যাতন করে বাঁধনের লোকজন এবং পরে রবিবার (১৮ মে) সকালে পূর্বের নির্যাতনের জন্য থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যাওয়ার পথে পুনরায় হামলা করা হয়।
প্রথমে আহত সাব্বির হোসেনকে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাব্বির হোসেন বলেন, ‘আমার পিতা আলী হাসানের সঙ্গে বাঁধন সরকার গংদের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে শনিবার সন্ধ্যায় বাঁধন সরকারের লোকজন আমাকে প্রায় এক ঘণ্টা যাবত মারধর করে।
তিনি আরও বলেন, ‘পরেরদিন (রবিবার) সকালে আইনগত সহায়তা ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বাড়ি থেকে বের হলে, বারুহাস বাজার এলাকায় আবারও হামলার শিকার হই। এই হামলায় জড়িতরা হল- পতিরামপুর গ্রামের বাঁধন সরকার, রাজ, নয়ন, অনিক, খায়রুল, শ্যামল, আলিফ, আলহাজ্ব ও রাব্বি সরকার। তারা লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাকে এবং সঙ্গে থাকা আমার চাচাতো ভাইয়ের শরীরে ও মাথায় আঘাত করে হত্যাচেষ্টা করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ওলামা দল নেতা বাঁধন সরকারের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না, দরকার হলে এলাকায় এসে তদন্ত করুন।