সরকারি ছাড়পত্র (জিও) না পাওয়ায় শেষ মুহূর্তে চীনে একটি উচ্চশিক্ষা প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরীর। শনিবার (৫ জুলাই) শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে জিও না পাওয়ার বিষয়ে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। আগামী ৭ জুলাই এ উচ্চ শিক্ষা প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্য চীন যাওয়ার জন্য দেশ ছাড়ার কথা ছিল শাবি উপাচার্যের।
একই সঙ্গে জিও লেটার না পাওয়ায় চীন সফর অনিশ্চয়তায় রয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক হায়দর আলীর।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফয়েজ চীনের উচ্চশিক্ষা অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধি দলের প্রধান। ২০ সদস্যের ওই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব।
আগামী ৬ থেকে ১১ জুলাই চীনের কুনমিং, উহান, গঞ্জু প্রদেশের ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্রমণ ও চুক্তিপত্র স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে চীন সরকারের শিক্ষা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে একাধিক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, গত জুনে প্রতিনিধি দলের সদস্যদের পক্ষ থেকে চীনে যাওয়ার জন্য সরকারি ছাত্রপত্রের জন্য আবেদন করা হয়। গত কয়েকদিনে সবার ছাড়পত্র হলেও ওই দুইজন উপাচার্যের ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। এতে তাদের চীনের উচ্চশিক্ষা প্রোগ্রামে অংশগ্রহণে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হায়দার আলী জানান, তিনি গত ২৫ জুন আবেদন করেছিলেন। তবে তিনি এখনও তার ছাড়পত্র অনুমোদন হয়নি।
এ বিষয়ে শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী বলেন, চীনের উচ্চশিক্ষা এই প্রোগ্রামে যুক্ত হতে গত ২৩ জুন আবেদন করেছি। এখনো জিও লেটার পাইনি। আমরা অপেক্ষায় আছি। সরকারের অনুমোদন পেলে তখনি আমরা যাব।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) নুরুন আখতার বলেন, গত বৃহস্পতিবার আমরা সামারি তৈরি করে রেখেছি। চ্যান্সেলরের কাছ থেকে এখনো অনুমোদন আসেনি। তাই আমরা অনুমোদন দিতে পারছি না।
আমার বার্তা/এমই
