গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনে অন্যতম ভুক্তভোগী রাষ্ট্র বাংলাদেশ
প্রকাশ : ২৫ জুন ২০২৫, ১৪:৩৫ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অন্যতম ভুক্তভোগী রাষ্ট্র। বিশ্বের ধনী দেশগুলো বিপুল পরিমাণ কার্বন নির্গত করলেও, বাংলাদেশকে এর ভয়াবহ প্রভাব বহন করতে হচ্ছে; অথচ বৈশ্বিক নিঃসরণে আমাদের অবদান মাত্র ০.৪ শতাংশ।’
মঙ্গলবার (২৪ জুন) ‘দুধ ও গরু পালন কার্যক্রম সংক্রান্ত তথ্য এবং আইপিসিসির টায়ার-২ ভিত্তিক গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন পরিমাপ- লাইভস্টক অ্যান্ড ডেইরি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (এলডিডিপি) হস্তক্ষেপের প্রভাব’ শীর্ষক একটি যাচাইকরণ কর্মশালা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের থ্রিডি হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, উন্নত দেশগুলো বহুবার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা কখনোই বাস্তবায়ন হয়নি। তাই অন্যদের দিকে না তাকিয়ে আমাদের নিজেদের সক্ষমতার ওপর ভর করে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতে জলবায়ু পরিবর্তন ও কার্বন নির্গমন ইস্যুতে আগামীতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধিত্ব করবে। বিশ্বব্যাপী কার্বন নির্গমনে প্রাণিসম্পদ খাতের কিছুটা ভূমিকা থাকলেও, বাংলাদেশে এর দায় তুলনামূলকভাবে নগণ্য।
প্রাণিসম্পদ খাতে বিনিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধান অতিথি বলেন, প্রোটিনের উৎস হিসেবে মাংস অপরিহার্য, তবে এর সাথে মিথেন গ্যাস নিঃসরণ কীভাবে কমানো যায়, সে বিষয়ে আমাদের প্রযুক্তিগত ও গবেষণাভিত্তিক প্রস্তুতি নিতে হবে।
কর্মকর্তাদের দক্ষ করে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মাঠপর্যায়ের তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে গবেষণার মান আরও উন্নত করা সম্ভব।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এবং বিশ্বব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত কর্মশালাটির সভাপতিত্ব করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি জিয়াওচুন শি, বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র কৃষি অর্থনীতিবিদ ও টাস্ক টিম লিডার আমাদু বা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তৃতা করেন এলডিডিপির প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. জসিম উদ্দিন, প্রকল্পের উদ্দেশ্য, সাফল্যের নির্দেশকসমূহ এবং অর্জিত ফলাফলসমূহের ওপর আলোকপাত করেন প্রকল্পের চিফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ড. মো. গোলাম রব্বানী।
আমার বার্তা/এল/এমই