চলতি বছরের শুরুতেই (জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এরপর যদিও ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে এর মাঝে হার্ট অ্যাটাক ও সেখান থেকে ফিরে আসার মতো কঠিন কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছে দেশসেরা এই ওপেনারের। আবার তামিমের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে প্রশ্ন উঠেছে নিকট ভবিষ্যতে ক্রিকেট সংগঠক নাকি রাজনীতিবিদের ভূমিকা দেখা যাবে তাকে!
সম্প্রতি তামিমকে ক্রিকেট সংগঠক অ্যাসোসিয়েশন এবং রাজনৈতিক দলের মঞ্চেও হাজির হতে দেখা যাচ্ছে। গতকাল (শনিবার) তিনি যোগ দিয়েছিলেন বিএনপির ‘তারুণ্যের মহাসমাবেশ’-এ। যেখানে গত ১৫ বছর জাতীয় ক্রীড়াঙ্গনে চট্টগ্রামের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেন তামিম। এজন্য তিনি প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তামিম বলেন, ‘একটা সময় সব খেলাতেই জাতীয় দলে চট্টগ্রামের ৬-৭ জন খেলোয়াড় থাকত। কিন্তু গত ১৫ বছর এই জায়গা থেকে কষ্টেসৃষ্টে একজন-দুইজন সুযোগ পেয়েছে। কেন এমনটা হলো, তার জবাব খুঁজে বের করা জরুরি। ১৫-২০ বছর আগে চট্টগ্রাম থেকে অনেকেই বাংলাদেশের স্পোর্টসকে রিপ্রেজেন্ট (প্রতিনিধিত্ব) করত। আমি বিশ্বাস করি, আবারও সেই জায়গায় ফিরতে পারব।’
অভিযোগ নয়, তরুণদের নিজের যোগ্যতা দিয়েই ক্রীড়াঙ্গনে জায়গা করে নেওয়ারও আহবান জানান তামিম। পাশাপাশি তিনি নিজেও এ নিয়ে কাজ করার কথা জানান, ‘জাতীয় দলে অমুকের কারণে খেলতে পারিনি, তমুকের কারণে খেলতে পারিনি—এটা স্পোর্টসম্যানের কথা হতে পারে না। স্পোর্টসম্যানের কথা হবে, ‘‘হয়তো আমার ভুল ছিল, সে কারণে দলে যেতে পারিনি।’’ হেলাল ভাই, ইসরাফিল ভাই ও হুম্মাম ভাইয়ের সঙ্গে চট্টগ্রামের স্পোর্টস নিয়ে কথা হয়—কীভাবে আগের জায়গায় ফিরে যাওয়া যায়। আমি নিশ্চিত, তারা সুযোগ পেলে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।’
গত ২৪ মার্চ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) ম্যাচ চলাকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন তামিম। অল্প সময়ের মাঝেই পরপর দু’বার তার হার্ট অ্যাটাক হয়। সে কারণে তাৎক্ষণিক রিং পরানো হয় হার্টে। পরবর্তীতে সিঙ্গাপুরেও গিয়েছিলেন চিকিৎসার স্বার্থে। সেই কথা স্মরণ করে তামিম বলেন, ‘আপনারা জানেন আমি অসুস্থ ছিলাম, একটা অঘটন ঘটেছিল, এখন মাত্র রিকভার করছি। আপনাদের এত ভালোবাসা দেখে আমি খুবই খুশি। ইনশাআল্লাহ, আবার দেখা হবে। ভালো থাকবেন।’
আমার বার্তা/জেএইচ