ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা দেওয়ান চৌধুরির পর আরও প্রবাসী ফুটবলার গায়ে জড়াতে চান লাল-সবুজ জার্সি। সেই পথেই হাঁটছেন কানাডিয়ান প্রবাসী ফুটবলার সামিত সোম। ইতোমধ্যে কানাডায় বাংলাদেশি কনস্যুলেটে তিনি পাসপোর্টের আবেদন করেছেন।
এর আগে অবশ্য বেশ কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশের হয়ে সামিত সোমের খেলা নিয়ে আলোচনা চলছিল। যদিও সেই সময় তিনি কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। বাংলাদেশের জার্সিতে হামজার অভিষেকের পরই আনুষ্ঠানিকভাবে সেই ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেন সামিত।
দুই দশক দেশে ক্রীড়া সাংবাদিকতা করার পর আবু সাদাত এখন কানাডা প্রবাসী। গতকাল (শুক্রবার) সামিত বাংলাদেশের কানাডার টরেন্টো কনস্যুলেট অফিসে আগমন উপলক্ষ্যে সাদাতও যান সেখানে। এই সময় তিনি সামিতের সঙ্গে নানা বিষয়ে আলাপ করেছেন।
সাদাত-সামিতের সেই আলোচনায় উঠে এসেছে এই কানাডা প্রবাসী ফুটবলারের বাংলাদেশের হয়ে খেলার নেপথ্য কারণ, নিজের লক্ষ্য ও সমর্থকদের প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গ। বাংলাদেশের হয়ে খেলার পথে কিছুটা এগিয়ে যাওয়া সামিত সোম প্রতিক্রিয়া জানালেন এভাবে, ‘এক্সাইটিং। এখানে এসে সবকিছু বাস্তব হয়ে যাচ্ছে। আশা করি ভালোভাবে পাসপোর্টের কাজ এবং ফিফার অনুমোদন পেয়ে যাব। তারপর খেলতে পারব বাংলাদেশের জন্য।’
বাংলাদেশের হয়ে খেলার নেপথ্য কারণ জানিয়ে সামিত বলেন, ‘কিছু জিনিস দেখেছি যে, বাংলাদেশের খেলা আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে। হামজা চৌধুরীও এখন তাদের হয়ে খেলছে, সে যেতে পারলে আমি কেন যেতে পারব না! সে অনেক বড় খেলোয়াড়।
এ ছাড়া বাংলাদেশ দলে থাকা (প্রবাস ছেড়ে আসা) ফুটবলার তারিক কাজী, জামাল ভূঁইয়া, কাজেম শাহ, সায়েদ ওদেরকে আগে থেকে জানি। সে কারণে আমারও (খেলার) আগ্রহ ছিল। সবসময় অপেক্ষা করছিলাম, ভেবেছি যে ঠিক সময়ে খেলব।’
১০ জুন সিঙ্গাপুরের সঙ্গে বাংলাদেশ ম্যাচে খেলা নিয়ে আশাবাদী এই কানাডিয়ান প্রবাসী ফুটবলার, ‘আশা করি, সবকিছু ঠিকঠাক হলে (খেলতে পারব)।’ এর আগে বাংলাদেশে এলেও এবার তার পরিচয় এবং আগমনটা ‘অন্যরকম ও উত্তেজনাপূর্ণ’ হবে বলে মনে করেন সামিত।
এ ছাড়া সামাজিক মাধ্যমে ইতোমধ্যে এই ফুটবলারকে নিয়ে রোমাঞ্চিত দেশের ফুটবল ভক্তরা। এ প্রসঙ্গে সামিত বলেন, ‘খুব বেশি প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি। আমি খুশি।’ যারা বার্তা ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন তাদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মাঠে ভালো করার লক্ষ্য সামিতের।
আমার বার্তা/এল/এমই