সনি-র‍্যাংসের দুর্নীতি ধরতে তথ্য চেয়ে দুদকের চিঠি

প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:৩৬ | অনলাইন সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক:

অভিযোগের ভিত্তিতে সনি-র‍্যাংস ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেড ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জে একরাম হুসাইন, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিনাস হুসাইনসহ পরিচালনা পর্ষদের কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অনিয়ম ও সম্পদ গোপনের অভিযোগ উঠেছে।

দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আলমগীর হোসেনকে টিম লিডার ও উপ-সহকারী পরিচালক মো. আল আমিনকে সদস্য অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। গত ১ সেপ্টেম্বর উপ-পরিচালক আলমগীর হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে জানানো হয়, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন নথিপত্র, প্রতিবেদন ও ব্যাঙ্ক লেনদেন খতিয়ে দেখা হবে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, অভিযোগ অনুসারে এমডি একরাম হুসাইন, ডিএমডি বিনাস হুসাইন সনি-র‍্যাংস ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেড এবং অন্যদের নামে বিপুল অপ্রদর্শিত সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বিদেশে অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তরের অভিযোগও রয়েছে।
দুদক তদন্তের স্বার্থে বেশ কিছু নথিপত্র চেয়েছে প্রতিষ্ঠানটির কাছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- 
সনি র‍্যাংগস ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের নিবন্ধনের আবেদনপত্র, অনুমোদনপত্র, সংঘ-স্মারক এবং কোম্পানি আইন-১৯৯৪ সালের সকল সিডিউল, পার্টিকুলারস অব ডিরেকটরস ফর্ম, সকল ফর্ম, সকল ফর্ম (বি), সকল ফর্ম ১১৭ ও চার্জ ডকুমেন্ট (যদি থাকে) এবং আর জে.এস.সি এয় সার্টিফাইট কপি। প্রতিষ্ঠানসমূহের নামীয় আয়কর রিটার্ণ সংক্রান্ত সকল রেকর্ডপত্র (শুরু হতে অদ্যাবধি)। প্রতিষ্ঠানসমূহের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে পরিচালিত ব্যাংক হিসাব বিবরণী। শুরু থেকে অদ্যাবধি বার্ষিক প্রতিবেদনসমূহের কপি (সারসংক্ষেপ সহ)। পরিচালনা পর্ষদের সদস্যের তালিকা ও পর্ষদভুক্ত ব্যক্তিবর্গের জাতীয় পরিচয় পত্র ও পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি।

দুদকের পক্ষ থেকে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সব নথি আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দুদকের অনুসন্ধান সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে সনি র‍্যাংগস ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের এমডি একরাম হুসাইনকে মোবাইলে কল এবং হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠালে তিনি কোনো জবাব দেননি। তবে, রাব্বি নামে জনৈক ব্যক্তি প্রতিবেদককে ফোন করে একরাম হুসাইনকে ফোন করার কারণ জিজ্ঞাসা করেন। একপর্যায়ে এ নিয়ে সংবাদ করলে তিনি দেখে নেয়ার হুমকি দেন।


আমার বার্তা/এমই