টিসিবি প্যাকেজে চা-সাবান-টুথপেস্ট যোগ করলে দরিদ্র ক্রেতারা উপকৃত হবে

প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২৫, ১৯:১৫ | অনলাইন সংস্করণ

  অনক আলী হোসেন শাহিদী:

“ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তাদের নির্ধারিত পণ্যের সাথে চা, সাবান, টুথপেষ্ট, ব্রাশ ও ডিটারজেন্ট সংযোজন করলে- “অতি দরিদ্র ক্রেতারা উপকৃত হবে”- এমন দাবি করছেন টিসিবির অতি দরিদ্র কার্ডধারী ক্রেতা সহ সাধারণ ক্রেতারা। 

টিসিবি মাঝে মধ্যে ঢাকা সহ সারা দেশে নির্ধারিত কার্ডধারী ক্রেতা ছাড়াও ট্রাকে করে সাধারণ মানুষের মধ্যে তাদের নির্ধারিত পণ্য চিনি, ডাল ও তেল বাজারের চাইতে অতি স্বল্প মূল্যে বিক্রি করে থাকে। ট্রাকের সামনে লাইনে অপেক্ষা করা শত শত ক্রেতারা জানাচ্ছেন- “এই পণ্যের সাথে চা, সাবান, টুথপেষ্ট, ব্রাশ ও ডিটারজেন্ট সংযোজন করলে তারা উপকৃত হবেন।

এক অনুসন্ধানে জানা যায়- টিসিবি সারা দেশে ১ কোটি দরিদ্র মানুষের মাঝে তাদের নির্ধারিত পণ্য চিনি, ডাল ও তেল বিক্রয় করে আসছে। ভোজ্য তেল প্রতি লিটার ১১৫ টাকা, মশুর ডাল প্রতি কেজি ৭০ টাকা এবং চিনি প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রয় করে। এ তিনটি পণ্যের বর্তমান সর্বনিম্ন বাজার মূল্য ভোজ্য তেল ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা, মশুর ডাল ১২০ থেকে ১৩৫ টাকা এবং চিনি ১১০ থেকে ১৪০ টাকা। 

ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ এর পরিচালক (বাণিজ্যিক, সিএমএস ও বিওবি) এস এম শাহীন পারভেজ (যুগ্ম সচিব) জানান- “সারাদেশে ১ কোটি মানুষের মাঝে তারা টিসিবির নির্ধারিত পণ্য সরবরাহ করে আসছেন। তবে ৫ই আগস্টের পরে ৫৭/৫৮ লাখ মানুষের মাঝে এই পণ্য সরবরাহ করছেন। এ সরবরাহ আগের মত ১ কোটিতে উত্তীর্ণ করতে কাজ চলছে”।

টিসিবি সূত্রে জানা যায়- সারাদেশে ৮৫০৬ জন ডিলার এর মাধ্যমে নির্ধারিত কার্ডধারী পরিবারের মাঝে টিসিবি তাদের পণ্য সরবরাহ করে। প্রতিটি কার্ডে নির্ধারিত পণ্যের পরিমান উল্লেখ করা থাকে। ঐ পরিমানের ভিত্তিতেই ডিলারদের নিকট পণ্য সরবরাহ করা হয়। কার্ডধারী ক্রেতারা নির্ধারিত পরিমান পণ্য গ্রহণ করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তথ্য পাওয়া যায় যে, কি পরিমান পণ্য নির্ধারিত মূূল্যে সরবরাহ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে অনিয়মের কোন সুযোগ নেই। 

টিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে- সারাদেশে পুরাতন ডিলার নবায়ন ও নতুন ডিলার নিয়োগের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। টিসিবির পণ্য ক্রয় সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে পরিচারক এস এম শাহীন পারভেজ জানান- প্রতিযোগীতামূলক দরপত্র গ্রহণ করে বেশ কয়েকটি নির্ধারিত কমিটির যাচাই বাছাই করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের মাধ্যমে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। ফলে অতিকম মূল্যে টিসিবি পণ্য ক্রয় করে। যার ফলে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে বাজারের চাইতে অতি স্বল্প মূল্যে পণ্য সরবরাহ সম্ভব হয়”। তিনি বলেন- রমজান মাসে খেজুর ও ছোলা ছাড়াও আপদ কালীন সময়ে আলু ও পেয়াজ এর মতো নিত্য পণ্য টিসিবি সরবরাহ করে আসছে। নির্ধারিত পণ্যের সাথে সাধারণ ক্রেতাদের দাবী অনুযায়ী চা, সাবান, টুথপেষ্ট, ব্রাশ ও ডিটারজেন্ট সরবরাহ করবেন কিনা?- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন- “সাধারণ মানুষের এ দাবীটি তিনি তাঁর কর্তৃপক্ষের নিকট তুলে ধরবেন”।

ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়সল আজাদ পি এস সি’র নেতৃত্বে টিসিবি কর্মকর্তারা সারাদেশে দরিদ্র মানুষের মাঝে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহে নিরলস ভাবে কাজ করছেন।

উল্লেখ্য যে, টিসিবি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি স্বায়ত্ত্বশাসিত বাণিজ্যিক সংস্থা। বাণিজ্যিক লেনদেন, বাজার হস্তক্ষেপ এবং জরুরী অবস্থার সময় প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানীর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখে। ১৯৭২ সালে ১লা জানুয়ারী থেকে প্রতিষ্ঠানটির অগ্রযাত্রা শুরু হয়। 


আমার বার্তা/এমই