প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত ফল প্রস্তুত
প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০২২, ১৪:৩৪ | অনলাইন সংস্করণ
ইব্রাহীম প্রিন্স
দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের নিয়োগের চূড়ান্ত ফলাফল প্রায় প্রস্তুত হয়ে গেছে। আগামী নভেম্বর মাসের প্রথম দিকে বা দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রকাশিত হতে পারে চূড়ান্ত ফলাফল। তৃতীয় সপ্তাহেও যেতে পারে ফল প্রকাশের তারিখ।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী মাসের (নভেম্বর) দ্বিতীয় সপ্তাহে।
এদিকে, পদ বাড়ছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত গণমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষক নিয়োগের কাজ চলমান। আগামী মাসের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহে এটি প্রকাশ করা হতে পারে। এখন পর্যন্ত পদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়নি। এটি করতে হলে মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্ধান্ত আসতে হবে। সেটি আসেনি। তাই পদ বাড়ছে কিনা, এখনই বলা যাচ্ছে না।
সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার পাঁচশ ৭৭টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে সে সময় পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। এরই মধ্যে অবসরজনিত কারণে সহকারী শিক্ষকের আরো অনেক পদ শূন্য হয়ে পড়েছে। এতে বিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষকের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ সমস্যার সমাধানে আগের বিজ্ঞপ্তির শূন্য পদ ও বিজ্ঞপ্তির পরের শূন্য পদ মিলিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এবার বলা হচ্ছে, সহকারী শিক্ষক নিয়োগে পদ বাড়ছে। নিয়োগ পেতে পারেন ৫০ হাজারেরও বেশি শিক্ষক।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রমের ইতিহাসে এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর অনলাইনে আবেদন শুরু হয়। আবেদন করেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ প্রার্থী। নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার প্রথম ধাপে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪০ হাজার ৮৬২ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৫৯৫ এবং তৃতীয় ধাপে ৫৭ হাজার ৩৬৮ জন। তিন ধাপের মৌখিক পরীক্ষাও এরই মধ্যে শেষ হয়েছে।
বর্তমানে সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। এগুলোয় মোট শিক্ষক আছেন প্রায় পৌনে চার লাখ। এখন নতুন করে আরও ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।
এই নিয়োগে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা তিন ধাপে নেওয়া হলেও চূড়ান্ত ফল একবারেই প্রকাশ করা হতে পারে। প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৪০ হাজার ৮৬২ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৫৯৫ এবং তৃতীয় ধাপে ৫৭ হাজার ৩৬৮ জন।
প্রথমে ৩২ হাজারের বেশি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও পরে অবসরের কারণে আরও ১০ হাজারের বেশি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়। এ জন্য একসঙ্গে ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। এই নিয়োগে পরীক্ষায় মোট আবেদন করেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ প্রার্থী।
ডিএস/প্রিন্স