ই-পেপার শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

আওয়ামী লীগে উপেক্ষিতরা

রতন বালো
২৩ মার্চ ২০২৪, ১১:৫২
১. লিয়াকত শিকদার, ২. ইসহাক আলী খান পান্না, ৩. মাঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরী, ৪. বাহাদুর বেপারী ও ৫. অজয় কর খোকন

দার্শনিক সক্রেটিস বলেছেন, ‘যার টাকা আছে তার কাছে আইন খোলা আকাশের মত, আর যার টাকা নেই তার কাছে আইন মাকড়সার জালের মত! তেমনি যাদের তেলবাজি করার দক্ষতা আছে তারা দলের কাছে যেমন প্রয়োজনীয় তেমনি দলকানাদের জন্য তারা আদর্শ।

কিন্তু যারা আদর্শর সঙ্গে আপস করতে জানে না তাদের জন্য কেবলই হতাশা অপেক্ষা করে। তেমনি আজকে আমরা বেশ কয়েকজন ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতার দলে উপেক্ষার কথা বলবো। এরা সবাই আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের সাথী। ছিলেন, ছাত্রলীগের নেতা। কঠিন সময়ে লড়াকু ভূমিকা পালন করেছেন। আন্দোলন সংগ্রামে তাদের কখনও পিছপা হতে দেখা যায়নি। আদর্শের প্রশ্নে তারা কখনও আপস করেননি। কিন্তু তারপরেও আওয়ামী লীগে অনাহূত একই সঙ্গে উপেক্ষিত।

তারা জায়গা পান না আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে, পারেন না এমপি হতে আর মন্ত্রিসভা সেতো বহু দূরের রাস্তা। অথচ তাদের ছায়ায় যারা একদিন পথ চলেছেন, তাদের আলোয় যারা একদিন রাজনীতি পড়েছেন তারাই হয়েছেন নেতা, এমপি, মন্ত্রী। এমন ক্ষমতার দম্ভে দলে এবং সরকারে প্রভাবশালী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। অথচ তারা নিজেরা যেমন নিজেদের অপরাধ জানেন না তেমনি জানেন তা দলের ত্যাগী কর্মীরা। কিন্তু কর্মীদের মধ্যে তাদের রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা । দল থেকে বঞ্চিত হলেও আওয়ামী লীগের পরিচয় নিয়েই তারা থাকতে চান এবং আওয়ামী লীগের পরিচয় নিয়ে তারা গর্ববোধ করেন। হৃদয়ে ক্ষোভ হতাশা থাকলেও মুখে তাদের হাসি থাকে। তারা তাদের দুঃখ হতাশার কথা কাউকে বলেন না।

এরকম ব্যক্তিদের মধ্যে যাদের কথা সবচেয়ে বেশি উল্লেখযোগ্য তাদের মধ্যে কয়েকজন?

লিয়াকত শিকদার: লিয়াকত শিকদার ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের কান্ডারী। দুঃসময়ে একজন বিশ্বস্ত কর্মী হিসেবে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছিলেন। শেখ হাসিনার প্রশ্নে তাকে কখনও আপস করতে দেখা যায়নি। কর্মীদের মধ্যে তার বিপুল জনপ্রিয়তা রয়েছে। কিন্তু তারপরেও লিয়াকত শিকদার আওয়ামী লীগে অনাহূত।

ইসহাক আলী খান পান্না: ইসহাক আলী খান পান্না ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার সভাপতি এনামুল হক শামীম মন্ত্রী-এমপি হলেও ইসহাক আলী পান্নার কপালে কিছু জোটেনি। কি তার অপরাধ কেউ বলতে পারে না।

মাঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরী: মাঈনুদ্দীন হাসান চৌধুরী ছাত্রলীগের সভাপতি হিসাবে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। একজন পরিচ্ছন্ন মেধাবী ছাত্রলীগ নেতা হিসাবে তার যথেষ্ট সুনাম ছিল। কিন্তু মাঈনুদ্দীন হাসান চৌধুরী এখন অপাংক্তেয়। তাকে কোথাও দেখা যায় না। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতেও তিনি নেই। সংসদ সদস্য হিসেবেও তার তিনি জায়গা পাননি। আর মন্ত্রী হওয়া তো অনেক দূরের কথা। মাঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরীর অপরাধ কি কেউ বলতে পারে না। তার সঙ্গে যারা রাজনীতি করেছিল, তার যারা অনুগত কর্মী ছিল তাদেরও কেউ কেউ এখন মন্ত্রী হয়েছেন, অনেকেই এমপি হয়েছেন। কিন্তু মাঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরী সেই জায়গাতেই রয়ে গেছেন।

বাহাদুর বেপারী: আওয়ামী লীগের আরেকজন মেধাবী ছাত্র নেতার নাম বাহাদুর বেপারী। বিভিন্ন সময় তার মেধা এবং যোগ্যতা নিয়ে ছাত্রলীগের মধ্যে চর্চা হয়। ছাত্রলীগের যে কয়েকজন মেধাবী নেতা এসেছিলেন, তাদের মধ্যে বাহাদুর বেপারী অন্যতম। কিন্তু বাহাদুর বেপারীও এখন আওয়ামী লীগের মূল রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়েছেন। তিনিও এখন প্রায় অনাহূত। তাকে নিয়েও এখন আওয়ামী লীগের মধ্যে খুব একটা চর্চা হয় না। বাহাদুর বেপারী ভবিষ্যতের রাজনীতিতে বড় ধরনের লিড পাবেন বা তার তিনি পাদপ্রদীপে আসতে পারবেন এমনটিও মনে করেন না অনেকে।

অজয় কর খোকন: অজয় কর খোকনও আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের সাথী এবং কঠিন সময়ে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব নিয়ে তিনি যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছিলেন। কিন্তু অজয় কর খোকনও এখন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে অপাংক্তেয়। তার কমিটিতে থাকা অনেকেই আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতা হয়েছেন, মন্ত্রী হয়েছেন। কিন্তু অজয় কর খোকন যেন পরিত্যক্ত বাসের মতো আওয়ামী লীগে অপাংক্তেয় হয়ে আছেন।

দুঃসময়ের এসমস্ত ছাত্রলীগের নেতাদেরকে কেন টেনে তোলা হচ্ছে না, কেন তারা পরিত্যক্ত অবস্থায়, অনাহূত আর উপেক্ষিত এ নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে বড় প্রশ্ন রয়েছে। তবে এদেরকে নিয়ে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারাও যারা ছাত্রলীগ করে এসেছেন, এখন ভালো জায়গায় আছেন তারাও খুব একটা কথা বলতে রাজি হননা। কারণ পাছে তাদের নিজেদের সুবিধাগুলো প্রশ্নবিদ্ধ হয়। কেউই এ সমস্ত অনাহূত, ত্যাগী, পরীক্ষিত ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের জন্য কথা বলতে আগ্রহী নন। কেন? সেটি এখন একটি বড় প্রশ্ন। তবে সহসা এমন উপেক্ষা কাটবে তেমনটিও মনে হচ্ছে না?

কিশোর গ্যাংয়ের নেপথ্যে নষ্ট রাজনীতি

কিশোর গ্যাংয়ে এখন শুধু কিশোররাই নয়, জাড়িয়ে পড়ছে কিশোরীরাও। এ এক ক্ষমতার নেশা, পাড়া-মহল্লায় দাপিয়ে

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সফল প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

২০১৪ সাল থেকে টানা দুই মেয়াদ (১০ বছর) অত্যন্ত সফলতার সাথে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ

১০০ দিনে ৫০০ অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দেয়ার ঘোষণা মন্ত্রীর

নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তাবায়নের পাশাপাশি দেশের ‘পরিবেশ রক্ষা’র বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছিলো নতুন সরকারে। পরিবেশ দূষণ

অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের মহোৎসব

অতিরিক্ত ভাড়ার বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেও মাঠ পর্যায়ে কোনো সুফল মেলেনি। উল্টো বেশি ভাড়া
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সরকারের কাঁধে ভর করেই নদী দখল হচ্ছে: কামরুল

এসএসসির ফলাফল প্রকাশ ৯ থেকে ১১ মের মধ্যে

দেশ বর্তমানে কঠিন সংকটে পড়েছে: ড. মাহবুব উল্লাহ

উচ্ছেদ করা হকারদের পুনর্বাসন দাবি

মে দিবসে নয়াপল্টনে শ্রমিক সমাবেশ করবে বিএনপি

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ, ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

গ্রাহকদের জন্য ইন্টারনেটের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে

দাবদাহে ঢাকায় বছরে ক্ষতি ২৭০০ কোটি ডলার

৯ মে থেকে হজের প্রথম ফ্লাইট শুরু

বাইক চাপা দিয়ে পালানোর সময় বাসে আগুন

একটি জাল ভোট হলেও ভোটগ্রহণ বন্ধ: ইসি হাবিব

চিফ হিট অফিসার ডিএনসিসির কেউ নন: মেয়র আতিক

১০ কোটি টাকা লোপাটের ঘটনায় ৩ কর্মকর্তা বরখাস্ত

নারী আম্পায়ারের অধীনে খেলতে ক্রিকেটারদের আপত্তি

রাতের মধ্যে বৃষ্টি হতে পারে যেসব জায়গায়

টানা চার দফায় কমলো স্বর্ণের দাম

আমাদের স্বাস্থ্য খাতে ভালো কাজ হচ্ছে

মহাসড়ক নয় যেন দুর্ঘটনার মৃত্যুপুরী

বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে ডেমরায় বাসে আগুন

সবুজ বিদ্যাপীঠ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাওছার আলী চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত