তুরস্কের খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে চা একটি অন্যতম খাবার

প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২২, ১৮:৫৫ | অনলাইন সংস্করণ

  কাজী জহিরুল ইসলাম

তুরস্কের চা-এর খ্যাতি বিশ্বজুড়ে রয়েছে। স্বাদে এবং পরিবেশনের ধরনে বৈচিত্র্য আছে। এ ধরনের কাপের মধ্যেই তারা সাধারণত লাল চা দিয়ে থাকে। 

আমি বাংলাদেশে থাকতে উত্তরায় বসবাসরত তুরস্কের গারদাসের বাসায় গিয়ে তুর্কী চা খাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। সেদিন অনেকে একাধিক কাপ চা খাচ্ছে। তুর্কী ভাইয়েরা সমানে পানির মতো খাচ্ছিল। আমার মন চাইলেও লজ্জায় দুই কাপের বেশি খাইনি।

তুরস্কে আসার পরে দেখলাম, আমাদের ডর্মে ঠান্ডা পানি, গরম পানি ও লাল চা অলটাইম ফ্রী। প্রথম দিন খেতে বসে বিপদে পড়লাম। কোন জগ নেই। গ্লাস নেই। সবাই নিজের মগ বা গ্লাসে পানি খাচ্ছে। অনেকে চা খাচ্ছে। আমি তখন অন্যজন থেকে ধার করে তার বোতল থেকে একটু পানি খেলাম। তারপর খাওয়া শেষে আমার চা খাওয়ার জন্য গ্লাস চাইলে ক্যান্টিনের কর্মচারী কি কি বুঝিয়ে একটা ছোট গ্লাস দিলো। সেটা দিয়ে খেলাম।

আসলে এখানে পানি বা চা খাওয়ার জন্য সবাই পার্সোনাল জগ, গ্লাস বা মগ ব্যবহার করে। এটা কমন। আমি প্রথমদিনের পরের দুদিন চা খেতে পারিনি মগ না কেনাতে। বোতল ম্যানেজ করে পানি খেয়েছিলাম। তখন দেখতাম অনেকে একটুও পানি খেতো না। তারা খাবারের সাথে বড় মগে চা নিয়ে বসে। পানির পরিবর্তে চা খায়। বিষয়টা প্রথম দিকে আমাকে খুব অবাক করে। এটা কীভাবে সম্ভব!

তারপর আমি মগ কিনি। প্রথমদিন আমিও পানির পরিবর্তে একমগ চা নিয়ে খেতে বসলাম। সেদিন পানির পরিবর্তে চা খেয়ে বদহজম হলো। পরে বমিসহ অশান্তি অনুভব করেছিলাম। তারপর কয়েকদিন আর চা খেলাম না। 

কিন্তু এখন ঠিকই অভ্যাস হয়ে গেছে। খাবারের সাথে চা খাই। মাঝে মধ্যে পানি খাই। পানি থেকেও চা বেশি খাওয়া হয়। পানি থেকে চা বেশি খাবো এটা একমাস আগেও আমার কাছে অভাবনীয় ছিল। ভাবতেই অবাক লাগে।


এবি/এপি