উত্তম আখলাক সন্তানের জন্য মহানবীর শিক্ষা

প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২২, ১৬:৩৭ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন ডেস্ক

সন্তান যে পরিবেশে বড় হবে তাই সে শিখবে। আল্লাহতায়ালা এ পৃথিবীতে ধনসম্পদ ও সন্তান-সন্তুতি দিয়ে থাকেন পরীক্ষা করার জন্য। অনেককে আল্লাহতায়ালা প্রচুর ধনসম্পদ দান করেন ঠিকই কিন্তু সেই ধনসম্পত্তির সঠিক ব্যবহার না করার ফলে দেখা যায় সে ধ্বংস হয়ে যায় আবার কাউকে সন্তান-সন্তুতি দেন ঠিকই কিন্তু তাদেরকে সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত না করার ফলে এই সন্তান তার জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়।

 শিষ্টাচারপূর্ণ আচার আচরণ শেখার পাশাপাশি আল্লাহর নিকট দোয়া করা উচিত।

মহানবী (সা.) পিতামাতাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘কোনো পিতা তার পুত্রকে উত্তম শিষ্টাচার অপেক্ষা অধিক শ্রেয় আর কোনো বস্তু দান করতে পারে না’ (তিরমিজি)। তাই পিতামাতার উচিত হবে সন্তানদের উত্তম শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলা।

হাদিসে উল্লেখ আছে, এক সাহাবী মহানবী (সা.)এর কাছে এসে বলেন ‘হে আল্লাহর রাসূল! সন্তানের ওপর পিতামাতার কি হক বা দাবি আছে? তিনি (সা.) বললেন, তারা উভয়েই তোমার বেহেশতও এবং দোযখও’ (ইবনে মাজাহ)।

সন্তান-সন্তুতি যদি প্রকৃত নৈতিকগুণ সম্পন্ন না হয় তাহলে মাতাপিতার জন্য তা একটি আজাব ছাড়া কিছুই না।

জীবনবিধান আল কোরআনের সূরা কাহাফের ৪৬ আয়াতে বলা হয়েছে, ‘ধনসম্পদ ও  সন্তানসন্তুতি দুনিয়ার সৌন্দর্য। এ সন্তানসন্তুতি যদি আদর্শ চরিত্রের না হয় তাহলে তা হয় মাবাবার জন্য পরীক্ষার কারণ, দুঃখের বোঝা।’

 আর এজন্যই আল্লাহতায়ালা কোরআন করিমে মুমিনদেরকে হুশিয়ার করে বলেছেন, ‘আর জেনে রাখ, তোমাদের ধনসম্পদ ও সন্তানসন্তুতি পরীক্ষার কারণ (সুরা আনফাল, আয়াত: ২৭)।