তুরস্কের কোনিয়ায় দ্বিতীয়বারের মতো ‘বাংলাদেশ শাপলা দিবস’ উদযাপন
প্রকাশ : ১৪ জুন ২০২৫, ১৬:৪৯ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

তুরস্কের কোনিয়ায় দ্বিতীয়বারের মতো ‘বাংলাদেশ শাপলা দিবস’ উদযাপিত হয়েছে। আঙ্কারায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক তুরস্কের বেইশেহিরে এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
কোনিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশের অনারারি কনসাল ডেনিজ বুলগুর ও বেইশেহির পৌরসভার সহযোগিতায় এবং বেইশেহির জাতীয় উদ্যান অধিদপ্তরের আয়োজনে এ অনুষ্ঠান হয়।
বেইশেহিরের শাপলা হ্রদে নৌকা ভ্রমণ অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে রাষ্ট্রদূত এবং তার প্রতিনিধি দল বেইশেহির হ্রদে নৌকা ভ্রমণ করেন এবং বিখ্যাত শাপলা উদ্যান পরিদর্শন করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কনস্যুলেট ইস্তাম্বুলের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মিজানুর রহমানও সপরিবারে উপস্থিত ছিলেন।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর মনোরম হ্রদে ভ্রমণের পর রাষ্ট্রদূত তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, বেইশেহিরে আমার নিজের বাড়ির মতো অনুভূতি হয়।
ভ্রমণ শেষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক বলেন, বেইশেহিরে পুনরায় আসতে পেরে আনন্দ অনুভূত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, যখন আমি বেইশেহিরে আসি, তখন আমার মোটেও অপরিচিত মনে হয় না। আমি ঘরে থাকার মতো অনুভূতি অনুভব করি। এই সুন্দর অনুষ্ঠানের আয়োজক এবং অবদান রাখা সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমরা এখন একটি পরিবার।
বেইশেহিরের মেয়র আদিল বেইন্দির বলেন, এই আয়োজন দ্বারা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। তিনি এই অনুষ্ঠানটিকে একটি ঐতিহ্যে পরিণত করার স্বপ্ন দেখেন বলে জানান।
আদিল বেইন্দির বলেন, আমি আশা করি এই অর্থবহ দিনটি, যা আমরা এই বছর দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করছি, তা চিরকাল স্থায়ী হবে এবং তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ বন্ধন আরও দৃঢ় হবে।
অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা সবার মনোযোগ আকর্ষণ করে। তুরস্কের বিখ্যাত জানিসারি ব্যান্ড শো, লোকনৃত্য এবং মিনি কনসার্টের আয়োজন করা হয় এবং অংশগ্রহণকারীরা আনন্দময় সময় কাটান।
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ ও তুরস্কের মানুষের এক মিলনমেলায় পরিণত হয়। এতে তুরস্কে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি কয়েকজন শিক্ষার্থীও অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানটিকে দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
আমার বার্তা/এমই