আইএমএফের ঋণে সতর্ক সরকার

প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২২, ১২:০৩ | অনলাইন সংস্করণ

  সাদেকুর রহমান:

  প্রিন্ট ভার্সন

৪.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ প্রস্তাব, আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার পর চূড়ান্ত অনুমোদন

ফেব্রুয়ারিতে ঋণের প্রথম কিস্তির আশা, সম্ভাব্য সুদহার ২.২

অতীতে আইএমএফের ঋণের শর্ত সম্পর্কে আমাদের ধারণা আছে। দেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয়, এমন কোনো শর্ত আমরা মানব না
-ওবায়দুল কাদের, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী

আগামী ফেব্রুয়ারিতেই আমরা প্রথম কিস্তি পাবো। ২০২৬ সালের মধ্যে মোট সাত কিস্তিতে এই ঋণের পুরো টাকা পেয়ে যাবো
-আ হ ম মুস্তফা কামাল, অর্থমন্ত্রী

বাংলাদেশ তাৎক্ষণিক সমস্যা বেশ ভালোভাবে সামলে নিলেও দীর্ঘমেয়াদি কিছু গুরুতর কাঠামোগত সমস্যা রয়ে গেছে -আইএমএফ

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় রেখে সতর্ক রয়েছে সরকার। দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে ৪৫০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ প্রস্তাবের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা ও আইএমএফ প্রতিনিধি দলের প্রধান রাহুল আনন্দ।

এর আগে ঢাকায় বিভিন্ন পর্যায়ের অংশীজনের সাথে টানা দুই সপ্তাহ দফায় দফায় বৈঠক শেষে গতকাল বুধবার বিকেলে অর্থনৈতিক খাতে কিছু যৌক্তিক সংস্কারের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশকে ঋণ দানের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের বিষয়টি খোলাসা করে আইএমএফ।

এদিকে, আগামী ফেব্রুয়ারিতেই এ ঋণের প্রথম কিস্তি পাওয়া যাবে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘যেভাবে চেয়েছিলাম, সেভাবে আইএমএফের ঋণ পেতে যাচ্ছি। প্রয়োজনীয় শর্ত তারা দিয়েছে, সেগুলো আমরা নিজেরাই শুরু করছিলাম।

এদিন, অর্থ মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী জানান, এই ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার আইএমএফ বাংলাদেশকে দেবে সাত কিস্তিতে। শেষ কিস্তি বাংলাদেশ হাতে পাবে ২০২৬ সালে। ৪২ মাসে দেয় এ ঋণের সুদের হার হবে ২.২ শতাংশ।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে রিজার্ভ গ্রস ৩৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। এর থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার বাদ দিলে যা থাকে সেটিই হচ্ছে নেট রিজার্ভের পরিমাণ।অপর এক প্রশ্নের জবাবে গভর্নর জানান, আইএমএফ বাংলাদেশের রিজার্ভের পরিমাণ গ্রসে নয়, নেটে দেখাতে বলেছে। এতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই।

এদিকে, গতকাল সকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ আমরা নেব। তবে কঠিন কোনো শর্তে আমরা যাব না।’ 
যদিও আইএমএফের কঠিন শর্তের ব্যাখ্যা তিনি দেননি। বিষয়টি সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘অতীতে আইএমএফের ঋণের শর্ত সম্পর্কে আমাদের ধারণা আছে। দেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয়, এমন কোনো শর্ত আমরা মানব না।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশে ডলার সংকট রয়েছে। রিজার্ভে চাপ বাড়ছে। এ সময় আমাদের টাকা দরকার। ঋণের জন্য আইএমএফের সঙ্গে আলোচনা চলছে। যেটা যৌক্তিক, সেটাই করা হবে।’
ফেব্রুয়ারিতে ঋণের প্রথম কিস্তি, সম্ভাব্য সুদহার ২.২ : 
জাতিসংঘ অনুমোদিত স্বায়ত্তশাসিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইএমএফ মিশন জানিয়েছে, তাদের কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী তিন মাসের মধ্যে ঋণ প্রস্তাবের সব আনুষ্ঠানিকতা ও তাদের পর্ষদে চূড়ান্ত অনুমোদন হবে।

পুরো ঋণ মোট সাত কিস্তিতে পাওয়া যাবে। আগামী ফেব্রুয়ারি নাগাদ আইএমএফ প্রথম কিস্তি প্রায় ৪৬ কোটি মার্কিন ডলার ছাড় করবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় আশা করছে। বাকি ঋণ প্রতি ছয় মাস পরপর ছয়টি সমান কিস্তিতে (প্রতি কিস্তি প্রায় ৬৮ কোটি ডলার) ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে পাওয়া যাবে। 

অর্থ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সুদের হার আইএমএফের নিজস্ব মুদ্রা স্পেশাল ড্রয়িং রাইটসের (এসডিআর) ভাসমান বা উম্মুক্ত হারের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। তবে সব মিলিয়ে সুদের গড় হার হতে পারে ২ দশমিক ২ শতাংশ।

মোট ঋণের উপর গড় সুদের হার হবে ২ দশমিক ২ শতাংশ। এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিঠি বা ইসিএফের প্রায় ১০৭ কোটি ডলার ঋণ হবে সুদমুক্ত। এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি বা ইইএফের সুদহার হাবে ভাসমান (ফ্লোটিং) এসডিআরের সঙ্গে ১ শতাংশ।

অন্যদিকে রেজিলিয়েন্স ট্রাস্ট ফ্যাসিলিটি বা আরসিএফের ১০০ কোটি ডলার ঋণের সুদহার হবে এসডিআর রেটের সঙ্গে শুন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ যোগ করে যা দাঁড়ায়।
পাঁচ সংস্কার করবে সরকার : 
আইএমএফের কাছ থেকে সাড়ে চার বিলিয়ন বা ৪৫০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ নিতে বাংলাদেশ সরকার আইএমএফের মিশনের সঙ্গে আলোচনা করে কিছু বিষয়ে সংস্কার করতে চেয়েছে। সফররত আইএমএফ মিশনের বিবৃতিতে এর উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় বলা হয়েছে। তবে বিবৃতিতে আইএমএফের ‘শর্ত’ হিসেবে কোনো কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারের এসব পদক্ষেপ বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাবে, অর্থনীতিতে ঝুঁকির মাত্রা কমাবে এবং অতি প্রয়োজনীয় সামাজিক, উন্নয়ন এবং জলবায়ু ব্যয় মেটানোর মাধ্যমে অর্ন্তভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।

আইএমএফের সঙ্গে ঋণ কর্মসূচির ক্ষেত্রে প্রধান পাঁচটি বিষয়ে সংস্কারে সম্মত হয়েছে সরকার। এগুলো হলো- বাড়তি আর্থিক সংস্থানের জায়গা তৈরি করা, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও মুদ্রানীতি কাঠামোর আধুনিকায়ন, আর্থিক খাত শক্তিশালীকরণ, প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা ত্বরান্বিত করা এবং জলবায়ু সহনশীলতা গড়ে তোলা।

এতে বলা হয়েছে, বাড়তি আর্থিক সংস্থানের জন্য উচ্চ রাজস্ব আহরণ এবং ব্যয় যৌক্তিকীকরণ করা হবে, যা প্রবৃদ্ধি-সহায়ক খরচ বাড়াতে সহায়ক হবে। অসুবিধাগ্রস্ত মানুষের ওপর প্রভাব মোকাবিলায় উচ্চ সামাজিক ব্যয় করা হবে এবং সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি অধিকতর লক্ষ্যনির্দিষ্ট হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি মূল্যস্ফীতির দিকেই দৃষ্টি দিয়ে বাস্তবায়িত হবে। মুদ্রার বিনিময় হার অধিকতর উন্মুক্ত করলে বহিস্থ: অভিঘাত মোকাবিলায় সহায়ক হবে মনে করছে আইএমএফ।

এছাড়া আর্থিক খাতের দুর্বলতা কমাতে তদারকি, সুশাসন এবং রেগুলেটরি কাঠামো জোরদার করা হবে। ব্যবসা ও বিনিয়োগের জন্য সহায়ক পরিবেশের উন্নতি করা হবে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বড় ধরণের বিনিয়োগ এবং বাড়তি অর্থায়ন যোগাড় করা হবে।
যা বলল আইএমএফ : 
এদিকে, আইএমএফের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশকে ঋণসহায়তা করার বিষয়ে সংস্থাটির সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের সমঝোতা হয়েছে। বলা হয়েছে, বর্ধিত ঋণ-সুবিধা (ইসিএফ) ও বর্ধিত তহবিল-সুবিধার (ইএফএফ) আওতায় ৩২০ কোটি ডলার আর রেজিলিয়েন্স সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) আওতায় ১৩০ কোটি ডলার ঋণ দেয়া হবে। ৪২ মাসের মেয়াদে এ ঋণ দেয়া হবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার এবং বিভিন্ন ধরনের বিঘ্ন সৃষ্টিকারী উপাদান ঠেকাতে নতুন এ ঋণ দেয়ার বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে। একই সঙ্গে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশবান্ধব উন্নয়নে সহায়তা দিতে কাঠামোগত পরিবর্তনেও জোর দেয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, মহামারি কাটিয়ে উঠে বাংলাদেশ জোর কদমে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে এগিয়ে যাচ্ছিল, কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ব্যাহত হয়।

এতে একদিকে চলতি হিসাবের ঘাটতি বাড়তে থাকে, অন্যদিকে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ কমতে থাকে। একই সঙ্গে, মূল্যস্ফীতির হার বৃদ্ধি পায় এবং প্রবৃদ্ধির গতি কমে যায়।

বাংলাদেশ এসব তাৎক্ষণিক সমস্যা বেশ ভালোভাবে সামলে নিলেও দীর্ঘমেয়াদি কিছু গুরুতর কাঠামোগত সমস্যা রয়ে গেছে বলে মনে করে আইএমএফ, যেমন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হওয়া।

তারা মনে করছে, সফলভাবে স্বল্পোন্নত দেশে (এলডিসি) উত্তরণ নিশ্চিত করতে এবং ২০৩১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার ক্ষেত্রে অতীতের সফলতার ওপর ভর করে এগোতে হবে এবং কাঠামোগত সমস্যাগুলো আমলে নিতে হবে।

সেই সঙ্গে তাদের পরামর্শ, বেসরকারি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার পাশাপাশি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

আইএমএফ প্রতিনিধিদল জানিয়েছে, আগামী তিন মাসের মধ্যে ঋণ প্রস্তাবের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার পর ঋণের বিষয়ে পর্ষদের চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া যাবে।

বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতি চ্যালেঞ্জের মুখে : বাংলাদেশ সফরের শেষ পর্যায়ে এসে আইএমএফ প্রতিনিধিরা সতর্কতা উচ্চারণ করে বলেছেন, এ বছর বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি দাঁড়াবে ৯ শতাংশে। আর সামষ্টিক অর্থনীতির দিক থেকে চ্যালেঞ্জের মুখে আছে বাংলাদেশ।

আইএমএফের প্রতিনিধি দল গতকাল অর্থমন্ত্রী আ. হ. ম. মুস্তফা কামালের সঙ্গে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এ সতর্ক বার্তা দেন। গত ২৬ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশ সফর করে ১০ সদস্যের দলটি।

এই দলের প্রধান ছিলেন রাহুল আনন্দ। সফর শেষে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন আইএমএফ প্রতিনিধিরা। বাংলাদেশকে ঋণ দেয়ার বিষয়ে গতকালই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানান তারা।

আইএমএফ প্রতিনিধিরা জানান, করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইত্যাদি কারনে বৈশি^ক মন্দা চলছে।

বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্ব মূল্যস্ফীতির চাপে আছে। আন্তর্জাতিক বাজারে সব পণ্যের দাম বেশি। ফলে আমদানি করা পণ্য বেশি দামে আনতে হচ্ছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়।

উল্লেখ্য, রিজার্ভ ধরে রাখতে আমদানিতে লাগাম টানায় অর্থনীতি সঙ্কুচিত হয়েছে; জ্বালানি সংকটের মুখে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উৎপাদন। এমন প্রেক্ষাপটে ডলার সাশ্রয়ে অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন উদ্যোগের পাশাপাশি বিদেশি উৎস থেকেও অর্থায়ন পাওয়ার চেষ্টা করছে সরকার।

এর অংশ হিসেবে আইএমএফের কাছে ঋণ পেতে গত জুলাই মাসে আবেদন করে বাংলাদেশ।আগস্টে যুক্তারষ্ট্রের ওয়াশিংটনে আইএমএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার জানান, সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলারের ঋণের জন্য বাংলাদেশের আবেদনে সাড়া দেয় আইএমএফ।

এরপর ঋণের শর্ত নিয়ে আলোচনার জন্য আইএমএফের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে আইএমএফ প্রতিনিধি দলটি ঢাকা আসে।

গত দুই সপ্তাহে সরকারের মন্ত্রীদের পাশাপাশি র্অথ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব র্বোড (এনবআির), জাতীয় সঞ্চয় অধদিপ্তর, বাংলাদশে পরসিংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস), বাংলাদশে ফাইন্যান্সয়িাল ইন্টলেজিন্সে ইউনটি (বিএফআইইউ), বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের পাশাপাশি অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

এসব আলোচনায় খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনা, আর্থিক খাতের তথ্যর প্রবাহ বৃদ্ধি, আর্থিক খাতে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি, ঋণ ব্যবস্থাপনায় ঝুঁকি হ্রাস, সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাঠামোগত সংস্কারের মত বিষয়গুলো আসে।

এবি/ওজি