মুক্তিযুদ্ধ অস্বীকার করলে বাংলাদেশকেই অস্বীকার করা হবে: জামায়াত নেতা
প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:০২ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করা মানেই বাংলাদেশ রাষ্ট্রকেই অস্বীকার করা। তিনি জানান, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সংবিধান ও আইন মেনে রাজনীতি করছে এবং দেশটির স্বাধীনতাকে তারা মেনে নিয়েই রাজনীতির ময়দানে রয়েছে।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আমাদের সবার অর্জন। আমরা সংবিধান ও আইনি প্রক্রিয়া মেনেই রাজনীতি করি। অতীত টেনে এনে বর্তমানকে বিচার করার সুযোগ নেই। মুক্তিযুদ্ধকে না মানলে তো বাংলাদেশকেই অস্বীকার করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে তৈরি 'জুলাই সনদ'কে আইনি স্বীকৃতি দিতে হবে, তাহলেই আগামী জাতীয় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক হবে। তিনি জানান, জামায়াত চায় আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হোক, যা ‘ইতিহাসের সেরা নির্বাচন’ হবে।
আযাদ বলেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য এটি একটি রাষ্ট্রীয় দলিল হিসেবে স্বীকৃতি পেতে হবে। যদি এটি আইনি প্রক্রিয়ায় না আসে, তাহলে ভবিষ্যতে তা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। আমরা চাই, এই সনদ এমনভাবে বাস্তবায়ন হোক, যাতে কোনো আইনি দুর্বলতা না থাকে।’
তিনি আরও বলেন, সংবিধানের ৭ নম্বর অনুচ্ছেদে জনগণের সর্বোচ্চ ক্ষমতার কথা বলা হয়েছে। এই ভিত্তিতে একটি ‘কনস্টিটিউশনাল অর্ডার’ বা সাংবিধানিক আদেশ জারি করা হলে তা হবে অত্যন্ত শক্তিশালী। এছাড়া, সরকার চাইলে এটিকে আরও দৃঢ় করতে গণভোটের মাধ্যমে জনগণের অনুমোদনও নিতে পারে।
জামায়াতের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, জুলাই সনদের ওপর ভিত্তি করে একটি আইনি কাঠামো গড়ে তুলে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ তা বাতিল বা চ্যালেঞ্জ করতে না পারে। তারা বলছে, একটি জবাবদিহিমূলক, কল্যাণমুখী ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য এই আইনি ভিত্তির কোনো বিকল্প নেই।
আমার বার্তা/এমই