নির্বাচনে যেতে প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসলামী দলগুলো

প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৫, ১১:১৩ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

নির্বাচন সামনে রেখে প্রস্ততি নিচ্ছে ইসলামী দলগুলো। আভাস মিলেছে জোটবদ্ধ হয়ে ভোট করার। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন ও সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে শঙ্কা আছে দলগুলোর। নেতারা বলছেন, সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে বিফলে যাবে জুলাই অভ্যুত্থান।

ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে জেল-জুলুম থেকে শুরু করে গুম খুনসহ নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ইসলামী দলগুলোর নেতাকর্মীরা।
 
২০২৪-এর ৫ আগস্ট ছাত্র ও জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর বদলেছে সেই প্রেক্ষাপট। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সাধারণ রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে অন্যতম শক্তিতে পরিণত হয়েছে ইসলামী দলগুলো। শুধু রাষ্ট্রীয় বা দলীয় কর্মসূচিই নয়, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরেও বেশ সরব তারা।
 
এরইমধ্যে ছোট-বড় প্রায় ১০টি ইসলামী দল ৩০০ আসনে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতিও শুরু করেছে। নির্বাচন ভাবনার বিষয়ে নেতারা বলছেন, প্রার্থী কেন্দ্রিক নয় প্রচারণা চালাচ্ছেন দলকে প্রাধান্য দিয়ে। কেউ আবার প্রার্থী কেন্দ্রিক প্রচারণা শুরু করলেও আছে জোটের পরিকল্পনা।
 
তবে জাতীয় নির্বাচনের আগে সংস্কারকে গুরুত্ব দিচ্ছে বেশিরভাগ ইসলামী দল। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে এখনও অন্তর্বর্তী সরকার পূর্ণ আস্থা অর্জন করতে পারেনি বলেও মত নেতাদের।
 
আলাদা আলাদা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিলেও ইসলামী দলগুলোর মূল টার্গেট জোটবদ্ধ হয়ে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ।
 
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব জালালুদ্দিন বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনে আমরা চেষ্টা করবো সকল দল ও মতকে ঐক্যবদ্ধ করে জোটবদ্ধ অংশ নেয়ার। তবে সংষ্কার এবং বিচারের কার্যক্রম দৃশ্যমান হওয়ার পরই নির্বাচন ব্যবস্থা করা জরুরি। এর জন্য যদি নির্বাচন আগামী বছরের এপ্রিলে হয় আমাদের আপত্তি নেই। ফেব্রুয়ারিতেও হলেও আপত্তি থাকবে না।’
 
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র গাজী আতাউর রহমান বলেন, প্রার্থী কেন্দ্রিক প্রচারণা আমরা এখনও শুরু করিনি। যদিও আমাদের প্রার্থী প্রস্তুত রয়েছে। এখনও অতীত বন্দোবস্ত রয়েছে। এরমধ্যে যদি নির্বাচন হয়ে যায়, তাহলে শুধু ক্ষমতার হাত বদল হবে। মৌলিক কোনো পরিবর্তন হবে না। আর জুলাই বিপ্লবলের আকাঙ্ক্ষা পুরাই ব্যর্থ হবে। অতীতে যেসব রাজনৈতিক দল দেশ চালিয়ে তাদের নিয়ে মানুষ হতাশ।’  
 
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমরা ৩০০ আসনের সব আসনেই প্রাথমিক প্রার্থী বাছাই চূড়ান্ত করেছি। কিন্তু এটা অফিসিয়াল ডিকলারেশন না। আসনটা দেয়া হলেও এটা জামায়াতের অধীন। যেকোনো সময় যেকোনো প্রয়োজনে জামায়াত সিদ্ধান্ত দিলে যেকোনো প্রার্থী আসন ছেড়ে দিতে বলা হতে পারে।’  
 
তিনি আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষতার জনগণের কাছে যে ওয়াদা করেছিল বা এখনও করছে সেটা তারা ঠিক রাখতে পারবে কি না বা কোনো চক্রের পেশারে কতটা সোজা থাকতে পারবে তা দেখার বিষয়।


আমার বার্তা/এল/এমই