ড. ইউনুস গোটা ছাত্র-জনতাকে দেখেছেন মাহফুজ-নাহিদদের লেন্স দিয়ে

প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৫, ১৮:৩৫ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

ড. ইউনুস শুরু থেকে আজ পর্যন্ত গোটা ছাত্র-জনতাকে দেখেছেন মাহফুজ-নাহিদদের লেন্স দিয়ে—ফলে তা হয়ে দাঁড়িয়েছে কালেক্টিভ নেতৃত্বের মাত্র একটি ক্ষুদ্র অংশের প্রতিফলন, যা গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির পূর্ণ চিত্র নয়। এমন বক্তব্য জানিয়েছেন নতুন রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশের (আপ) প্রধান সমন্বয়কারী রাফে সালমান রিফাত। তিনি বলেন, জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে কোনো একক নেতৃত্ব ছিল না, এটি ছিল সম্মিলিত ছাত্র-জনতার নেতৃত্বের ফসল, যা এখনও অনেকের কাছে পুরোপুরি পরিষ্কার নয়।

শনিবার (২৪ মে) দুপুরে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া পোস্টে রিফাত বলেন, “সাদিক কায়েম, নাহিদ, মাহফুজ, জুনায়েদ কেউ কারোর ইমাম ছিলেন না। এখানে কোনো একক মাস্টারমাইন্ড বা ইমাম নেই। শহিদ ও আহতদের ত্যাগের মধ্য দিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলন গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নিয়েছে।"

রিফাত আরও উল্লেখ করেন, "এটি একইসঙ্গে ছিল খুনি হাসিনার ১৬ বছরের ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের স্বতঃস্ফূর্ত ঐক্যমত্যের ফলাফল।"

তিনি অভিযোগ করেন, ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন পক্ষ একপাক্ষিক বা একক ইমাম নেতৃত্ব আরোপের চেষ্টা চালাচ্ছে, যা ছাত্র নেতাদের মধ্যে অনৈক্য, অবিশ্বাস ও বিভেদ সৃষ্টি করেছে।

রিফাত বলেন, “ড. ইউনুস শুরু থেকেই গোটা ছাত্র-জনতাকে মাহফুজ-নাহিদদের লেন্স দিয়ে দেখেছেন। এর ফলে আন্দোলনের মাত্র একটি অংশকে পুরো কালেক্টিভ নেতৃত্বের প্রতিফলন হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।"

তিনি আরও বলেন, “কালেক্টিভ নেতৃত্বের বাকিরা যেমন সাদিক কায়েম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, আলী আহসান জুনায়েদ, সিবগাতুল্লাহ বা ছাত্রদলের রাকিব-নাসিরদের অবস্থান ও ভূমিকা সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা এখনও অজ্ঞাত।”

রাফে সালমান দাবি করেন, উত্তাল আন্দোলনের মুহূর্তে কিভাবে সমন্বয় হয়েছিল, কারা নেতৃত্ব দিয়েছেন—এসব বিষয় ড. ইউনুস কখনো এই নেতাদের মুখ থেকে শুনেননি এবং ছাত্রদের সম্মিলিত শক্তির সঙ্গে কখনো বসেননি।

“ছাত্র-নেতৃত্বের আজকের অনৈক্যের কারণ সম্পর্কে তিনি অনবগত। ড. ইউনুস যদি একবার সবার সঙ্গে বসতেন, তাহলে গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দানকারী ছাত্রদের মধ্যে সমন্বয়হীনতার এত প্রকট সংকট এত দ্রুত তৈরি হতো না,” যোগ করেন রিফাত।


আমার বার্তা/এমই