কারাবন্দি মির্জা ফখরুলের পরিবারের পাশে পেশাজীবীরা
প্রকাশ : ২৬ ডিসেম্বর ২০২২, ১০:৩০ | অনলাইন সংস্করণ
অনলাইন ডেস্ক

কারাবন্দি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাসায় গিয়ে সহমর্মিতা জানিয়েছেন বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা।
রোববার রাতে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ও কাদের গনি চৌধুরীর নেতৃত্বে পেশাজীবিদের একটি প্রতিনিধি দল বিএনপি মহাসচিবের উত্তরার বাসায় তার সহধর্মিণী রাহাত আরা বেগমের সঙ্গে দেখা করেন।
তারা বিএনপি মহাসচিবের সহধর্মিণীসহ পরিবারের সদস্যদের সার্বিক খোঁজখবর নেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. শামসুল আলম সেলিম, প্রফেসর মোর্শেদ হাসান খান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জল, সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম, প্রফেসর ড. কামরুল আহসান, কৃষিবিদ প্রফেসর ড. গোলাম হাফিজ কেনেডি, ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম, প্রফেসর ড. নুরুল ইসলাম, ডা. আমিনুল বারি কানন, ডা. সোহেল আহমেদ, প্রফেসর ড. ইদ্রিস আলী, ব্যারিস্টার আবুল হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার হানিফ, সাংবাদিক রিয়েল রোমান, তানভীরুল হাসান খান প্রমুখ।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, সামাজিক অবস্থান, বয়স ও শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় বিএনপি মহাসচিব জামিন পাওয়ার যোগ্য। জামিন না দিয়ে ন্যায়বিচার থেকে তাঁকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
এ সময় ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৭ ধারা অনুযায়ী বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তি, জামিন পাওয়ার অধিকারী।
তাছাড়া বর্তমানে যে অভিযোগে তিনি কারাগারে রয়েছেন, প্রায় একই রকমের ৯০টি মামলায় এর আগে তিনি জামিন পেয়েছেন। শুধু রাজনৈতিক কারণে তার জামিন প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে।
ড. মোর্শদ হাসান খান বলেন, বিএনপি মহাসচিবকে যে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে, সেখানে এজাহারে তাঁর নাম নেই। মামলার এজাহারে তাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ নেই।
এজাহারে যাঁদের নাম ছিল, তাদের মধ্যে দুজন জামিনে গেছেন। একই আদালত মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন নাকচ করছেন।
এখানে মনে হয়, নিম্ন আদালত হয়তো স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারছেন না। বয়স ও রাজনৈতিক অবস্থান বিবেচনায় আদালত তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিতে পারতেন।
এবি/ওজি